ট্রাম্প জমানায় এই নিয়ে তৃতীয় বার কোনও মার্কিন বিদেশ সচিব ভারত সফরে এলেন।
নয়াদিল্লি:
মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেওর সঙ্গে বুধবার বৈঠকে বসবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে চলেছে এই বৈঠকে। তার মধ্যে অন্যতম সন্ত্রাসবাদ, এইচ১বি ভিসা, ব্যবসা, ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার অস্ত্রচুক্তি এবং ইরানের থেকে তেল কেনা নিয়ে আমেরিকার সম্মতি। কেন্দ্রে মোদি সরকারের প্রত্যাবর্তনের পরে এই প্রথম এত উচ্চ স্তরের বৈঠক হতে চলেছে দেশে। এই সফরে পম্পেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও বৈঠকে বসবেন।
রইল পম্পেও-র ভারত সফর সম্পর্কে ১০টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
এই সপ্তাহে জাপানের ওসাকাতে জি-২০ শীর্ষ বৈঠকে মিলিত হবেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার ঠিক আগেই ভারত সফরে এলেন পম্পেও।
মঙ্গলবার রাতে নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন পম্পেও। আমেরিকার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভারতের সঙ্গে কৌশলী সম্পর্ক আরও গভীর করতেই তিনি এদেশে এসেছেন। একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাম্প্রতিক নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় এই ব্যাপারে দারুণ সুযোগ এনে দিয়েছে।''
বুধবার দ্বিপ্রহরে এস জয়শঙ্কর একটি মধ্যাহ্নভোজনের আয়োজন করেছেন পম্পেও-র জন্য। তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের কথাবার্তার মধ্যে দিয়ে ভারত চেষ্টা করবে ব্যবসা ক্ষেত্রে উভয়পক্ষের তরফে স্বীকৃত ভিত্তি তৈরি করার। মঙ্গলবার এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘‘আমরা কথা বলব সদর্থক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে... পম্পেও-র সঙ্গে বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। আমরা অবশ্যই দুই দেশের মধ্যে ব্যবসার বিষয়টি আলোচনা করব। দুই দেশেরই নিজস্ব আগ্রহ রয়েছে। সেকারণেই মতান্তরও হতেই পারে। আমরা চেষ্টা করব কূটনীতির মাধ্যমে উভয়পক্ষের তরফে স্বীকৃত ভিত্তি তৈরি করার। আমরা আমেরিকার সঙ্গে কথা বলব সদর্থক মনোভাব নিয়ে।''
ভারতের কূটনৈতিক সূত্রে জানা যাচ্ছে, সমস্ত ইস্যুই ঠিক করা আছে। পম্পেও ও জয়শঙ্করের মধ্যে আলোচনার কোনও কৌশলী অ্যাজেন্ডা নেই।
রাশিয়ার সঙ্গে ৫ বিলিয়ন ডলারের এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি নিয়ে আমেরিকার আপত্তি নিয়েও কথা হবে বলে সূত্র থেকে জানা গিয়েছে। মার্কিন আইনে কোনও ব্যবস্থা এ ব্যাপারে আছে কি না তা জানতে চাইবে ভারত। পম্পেওকে স্পষ্ট করে ভারতের অবস্থান বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
আমেরিকা চায় ভারত ওই ক্ষেপণাস্ত্র কেনার পরিকল্পনা বাতিল করুক। তাদের আইন অনুযায়ী কোনও দেশই রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া ও ইরানের সঙ্গে ‘গুরুত্বপূর্ণ বিনিময়' করতে পারবে না।
এইচ১বি ইস্যুও এদিনের বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হতে চলেছে। মার্কিন সূত্রে জানা যাচ্ছে, পম্পেও ভারতকে নিশ্চিন্ত করতে জানিয়ে দেবেন যে ট্রাম্প প্রশাসন এব্যাপারে কিছু চাপিয়ে দেবে না।.
ভারত-মার্কিন ব্যবসায়িক সম্পর্ক নিয়ে মাইক পম্পেও কথা বলবেন। পরে সন্ধ্যায় নয়াদিল্লিতে তিনি রাজনৈতিক বক্তৃতা দেবেন এ বিষয়ে।
ভারতের সঙ্গে বৈঠক সেরে পম্পেও ট্রাম্পের সঙ্গে জাপানে যাবেন জি-২০ শীর্ষ বৈঠকে যোগ দিতে। নরেন্দ্র মোদিও ওই বৈঠকে যোগ দেবেন। সেখানে ট্রাম্পের সঙ্গে মোদির বৈঠক হওয়ার কথা।
ট্রাম্প জমানায় এই নিয়ে তৃতীয় বার কোনও মার্কিন বিদেশ সচিব ভারত সফরে এলেন।
Post a comment