Religious Minorities: "আমেরিকা ভারতকে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার প্রতি নজর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে", জানান মার্কিন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র
হাইলাইটস
- ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার আহ্বান জানালো আমেরিকা
- বৃহস্পতিবারই আইনে পরিণত হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল
- রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ওই বিলে স্বাক্ষর করার পর আইনে পরিণত হয় সেটি
ওয়াশিংটন: বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের আঁচ ক্রমশই ছড়িয়ে পড়ছে এদেশে। সেই পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে এবার ভারতীয় সংবিধান ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের (Religious Minorities) অধিকার রক্ষার জন্য ভারতকে অনুরোধ জানাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে এ দেশে আসা নিপীড়িত ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদান করবে এই নাগরিকত্ব আইন। সোমবার লোকসভায় পাস হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল, পরে রাজ্যসভাতেও ভোটাভুটিতে পাস করে যায় বিলটি (Citizenship Amendment Bill)। বৃহস্পতিবারই এই বিলে স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, ফলে আইনে (Citizenship Act 2019) পরিণত হয় সেটি।
বৃহস্পতিবার মার্কিন বিদেশ দফতরের একজন মুখপাত্র বলেছেন, "আমরা নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সংক্রান্ত উন্নয়নের বিষয়ের দিকে নিবিড়ভাবে লক্ষ্য রাখছি। ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি সম্মান করা এবং আইনের আওতায় সমান আচরণ করা গণতন্ত্রের দুটি মৌলিক নীতি"।
"মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সংবিধান এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সঙ্গে মিল রেখে এদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার দিকে নজর দেওয়ার জন্যে আহ্বান জানিয়েছে", বলেন ওই মুখপাত্র ।
বাংলাদেশের পর এবার ভারত সফর বাতিল করতে পারেন জাপানের প্রধানমন্ত্রীও!
পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে এ দেশে আসা নিপীড়িত ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদান করবে এই নাগরিকত্ব আইন। সোমবার লোকসভা এবং বুধবার রাজ্যসভায় বিলটি পাস হওয়ার পর তাতে রাষ্ট্রপতির সম্মতি মেলায় সেটি এখন আইনে পরিণত হয়েছে।
তবে নাগরিকত্ব আইনটি দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বিশেষত উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির জনগণের মধ্যে তীব্র বিক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নেমে অসমে উত্তেজিত জনতা বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে নামা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে দু'জন বিক্ষোভকারী মারা যায় বলে খবর। ত্রিপুরা থেকে কোনও হানাহানির খবর না পাওয়া গেলেও, অশান্তি এড়াতে রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি-বেসরকারি দফতর বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিকে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের আঁচ এবার ত্রিপুরা, অসম থেকে ছড়িয়ে পড়েছে মেঘালয়েও।বৃহস্পতিবার সে রাজ্যে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজধানী শিলংয়ের কিছু অংশে অনির্দিষ্টকালের জন্যে কারফিউ জারি করা হয়। পাশাপাশি স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে এলাকার মোবাইল ইন্টারনেট এবং এসএমএস পরিষেবাও। স্থানীয়দের তোলা মোবাইল ভিডিওতে দেখা গেছে যে শিলংয়ে কমপক্ষে দুটো গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। স্থানীয় দোকান-বাজারেও অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে, ফলে পুলিশ সেগুলিকে বন্ধ করে দেয়। টুইটারে পোস্ট করা অন্য একটি ভিডিওতে দেখা যায় যে, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে শহরের অন্যতম প্রধান রাস্তায় একটি বিশাল মশাল মিছিল বের করা হয়।
বিক্ষোভের জেরে মেঘালয়ে জারি কারফিউ, স্থগিত ইন্টারনেট পরিষেবাও
ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক বলেছে যে নাগরিকত্ব আইনটির মাধ্যমে ইতিমধ্যেই অন্য দেশ থেকে বিতাড়িত অথচ এদেশে আশ্রয় নেওয়া ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্যে তাৎপর্যপূর্ণ বিবেচনার মাধ্যমে ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি দেশেরই নাগরিক সংখ্যাগরিষ্ঠতা ও বৈধকরণের অধিকার রয়েছে এবং বিভিন্ন আইনের মাধ্যমে সেগুলিকে প্রয়োগ করার অধিকারও রয়েছে, দৃঢ়ভাবে জানিয়েছে ভারত।
দেখে নিন এই ভিডিও: