এস-৪০০ সবচেয়ে উন্নত দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী প্রযুক্তি।
ওয়াশিংটন: রাশিয়ার (Russia) কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী এস-৪০০ প্রযুক্তি (S-400 Missile Defence System) কিনতে চায় ভারত। আমেরিকাকেও সেই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে ভারত। কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) একথা জানিয়ে বলেছেন, ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের যুক্তি মেনে নেবে। ২০১৫ সালে ভারত ঘোষণা করে রাশিয়ায় তৈরি এস-৪০০ প্রযুক্তি কিনতে চায় তারা। মাটি থেকে আকাশমুখী ওই প্রযুক্তি কিনতে ৫.৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে দু'দেশের মধ্যে। গত বছর যখন রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন ভারতে আসেন সেই সময় এটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ট্রাম্প প্রশাসনের সিনিয়র কর্তারা ভারতকে হুঁশিয়ার করে জানিয়েছে, এই চুক্তি আমেরিকার ‘কাউন্টারিং আমেরিকাজ অ্যাডভারসারিজ থ্রু স্যাঙ্কশনস্ অ্যাক্ট' (কাটসা) আইনের পরিপন্থী হতে পারে।
ট্রাম্প তাঁকে দেশের পিতা বললে, আপত্তি করলেন না কেন, প্রশ্ন অশোক গেহলতের
এই কাটসা আইন অনুযায়ী রাশিয়া, ইরান ও উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র এবং প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
এই মুহূর্তে ওয়াশিংটনে রয়েছেন এস জয়শঙ্কর। তাঁকে সেখানে এস-৪০০ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘ভারত সিদ্ধান্ত নিয়েছে এস-৪০০ কেনার ব্যাপারে এবং আমরা সেটা মার্কিন সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছি।''
‘‘যারা মহাত্মা গান্ধির আদর্শকে বোঝেনি তারাই এনআরসির কথা বলছে'': কংগ্রেস
এক রাশিয়ান সাংবাদিক তাঁর কাছে জানতে চান, কাটসা আইন অনুযায়ী আমেরিকা ভারতকে এস-৪০০ কেনার অনুমতি দেবে কিনা। জয়প্রকাশ বলেন, ‘‘আমি আশা করব লোকেরা বুঝবে এই নির্দিষ্ট লেনদেন কেন আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।''
এস-৪০০ সবচেয়ে উন্নত দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী প্রযুক্তি। ২০০৭ সালে এটা রাশিয়া তৈরি করে। একে তৈরি করা হয়েছে, বিমান, জাহাজ ও ব্যালিস্টিক মিসাইন ধ্বংস করার জন্য। এর মধ্যে মাঝারি পাল্লার মিসাইলও রয়েছে। এটি ৪০০ কিলোমিটার দূর থেকে লক্ষ্যে হানা দিতে পারে।
গত মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাশিয়ায় গেলে দুই দেশের মদ্যে আলোচনা শুরু হয় রাশিয়া সেনার প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ভারতে তৈরি করা শুরু করতে। এইভাবে বর্তমানের ক্রেতা-বিক্রেতা সম্পর্ককে পারস্পরিক সহযোগিতায় পরিবর্তিত করচে চাইছে দুই দেশ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন ইচ্ছাপ্রকাশ করেন ভারত-রাশিয়া সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে।
ভিডিও দেখুন