ঊষসী সেনগুপ্ত (Ushoshi Sengupta) জানিয়েছেন, গাড়ি থেকে নেমে তিওনি গোটা ঘটনার ভিডিও করেন
কলকাতা: সিটি অফ জয় ক্রমেই যে ভয়ের শহর হয়ে উঠছে, এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার ফাঁক যে ক্রমেই বাড়ছে তা ফের প্রমাণিত হল সোমবার রাতেই। কলকাতা শহরের জমজমাট এলাকায় গাড়ি থামিয়ে উবের চালককে মারের প্রতিবাদ করতে গিয়ে নিগৃহীত হলেন মডেল ও অভিনেত্রী তথা প্রাক্তন ভারত সুন্দরী ঊষসী সেনগুপ্ত (Model-actor Ushoshi Sengupta)। অভিযোগ, ঊষসী যে ক্যাবে (Uber cab) বাড়ি ফিরছিলেন পথমধ্যে কিছু দুষ্কৃতী সেই গাড়ির চালককে মারধোর করে। এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে দুষ্কৃতীরা চড়াও হয় ঊষসীর উপরেও! সোশ্যাল মিডিয়ায় ঊষসীর শেয়ার করা ভিডিও ও সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে এই ঘটনায় এখনও সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
স্কুলবাস চালককে সেনার "নিগ্রহ" দেখে বাচ্চাদের কান্নার ভিডিও ঘিরে বিতর্ক
২০১০ সালের প্রাক্তন মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগী (former Miss Universe contestant of 2010) ঊষসী গতকাল তাঁর একজন সহকর্মীর সঙ্গে শহরের একটি পাঁচতারা হোটেল থেকে নিজেদের বাড়ি ফিরছিলেন। রাত তখন প্রায় ১১.৪০। মোটরসাইকেলে চাপা কয়েকজন লোক তাঁদের ক্যাব থামিয়ে গাড়িচালককে আক্রমণ করে বলে অভিযোগ।
ঊষসী সেনগুপ্ত তাঁর পোস্টে জানিয়েছেন, তিনি এই ঘটনার ভিডিও করতে করতেই চিৎকার করেন এবং পুলিশকে ডাকেন। তিনি নিজের ফেসবুক পোস্টে দাবি করেছেন যে, তার নিকটবর্তী ময়দান থানার (Maidan Police Station) অফিসাররা প্রথমে তার বারংবার অনুরোধের সত্ত্বেও সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেননি। শেষ পর্যন্ত পুলিশকর্মীরা এগিয়ে এলে ওই দুষ্কৃতীরা পুলিশদের ধাক্কা মেরে সেই জায়গা থেকে পালিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন ঊষসী।
অভিযোগ, ছয়জন দুষ্কৃতী ঊষসী সেনগুপ্ত ও তার সহকর্মীকে অনুসরণ করে এগিয়ে এসে তাঁদের গাড়িতে পাথর ছোঁড়েন এবং ঊষসীকে গাড়ি থেকে টেনে নামিয়ে দিতে উদ্যোগী হয়। ঊষসীর দাবি, অভিযুক্তরা তার ফোন থেকে এই ঘটনার রেকর্ড করা ভিডিও মুছে ফেলার চেষ্টা করে, ফোন ভেঙে ফেলতেও চায় তারা। স্থানীয় মানুষজন জড়ো হয়ে যাওয়ার পরে অভিযুক্তরা হামলা বন্ধ করে।
“বর্ণবিদ্বেষী” মন্তব্যের জের, রবীন্দ্রভারতীর চার বিভাগীয় প্রধানের পদত্যাগ
পোস্টে ঊষসী লিখেছেন, “ওরা আমার গাড়ি থামিয়ে, পাথর ছুঁড়ে মারে এবং আমাকে গাড়ি থেকে বাইরে টেনে নিয়ে যেতে চায় এবং ভিডিওটি মুছে ফেলার জন্য আমার ফোনটাও ভাঙ্গার চেষ্টা করে। আমার সহকর্মী ভয়ে গাড়ি থেকে লাফিয়ে নামেন এবং স্থানীয় লোককে সাহায্যের জন্য চিৎকার করে ডাকতে থাকে।" চারু মার্কেট থানার একজন পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেছেন ঊষসী সেনগুপ্ত। তাঁর কথায়, ওই পুলিশ কর্মী ঊষসী অভিযোগ দাখিল করলেও গাড়ির চালকের অভিযোগ নিতে প্রত্যাখ্যান করেন।
কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police) জানিয়েছে, তারা তদন্ত শুরু করেছেন। কলকাতা পুলিশ নিজস্ব টুইটার হ্যান্ডেলে লিখেছে, “আমরা এই ঘটনাটি খুব গুরুত্ব সহকারেই গ্রহণ করেছি এবং এখনও অব্দি সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশের কমিশনারের নির্দেশে, এই ঘটনায় এফআইআর নিবন্ধন না করার বিষয়েও অত্যন্ত উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।”