ঊষসী সেনগুপ্তের অভিযোগ, অভিযুক্তরা তাঁর ক্যামেরা ভেঙে ভিডিও নষ্ট করে দিতে চেষ্টা করেছিল
কলকাতা: মোড় ঘুরল ঊষসী সেনগুপ্ত (Ushoshi Sengupta) হেনস্থা কাণ্ডের। গতকাল দিনভর লজ্জাজনক ঘটনাটি নিয়ে তোলপাড়ের পর সরিয়ে দেওয়া হল এক সাব ইন্সপেক্টরকে (sub-inspector)। একই সঙ্গে শো-কজ নোটিশ ধরানো হল ওই রাতে ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত দুই পুলিশ কর্মীকে (two other policemen)। গত সোমবার রাতে বাড়ি ফেরার সময় একদল যুবক ধাওয়া করে তাঁর উববেরকে। ময়দানের সামনে জোর করে গাড়ি থামিয়ে চালককে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করে। ঘটনার ভিডিও তুললে প্রাক্তন ভারতসুন্দরীকেও হেনস্থা করে তারা। গাড়ি ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি ঊষসীর মোবাইল কেড়ে ভিডিওটি নষ্ট করার চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনা যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, অন্যান্য শহরের মতোই আর নিরাপদে নেই শহর কলকাতাও। একই সঙ্গে নগ্ন হল প্রশাসনের প্রকৃত চেহারা।
‘‘উবের চালকের পাশে দাঁড়াতেই হত'': প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া উষশী সেনগুপ্ত
মডেল-অভিনেতা ঊষসীর অভিযোগ, সোমবার মধ্যরাতে বন্ধুকে নিয়ে উবেরে করা বাড়ি ফেরার সময় একদল যুবক বাইকে চেপে পিছু ধাওয়া করে তাঁদের। কলকাতার মধ্যস্থল ময়দানের কাছে উবেরটিকে থামায় তারা। তারপরেই চালককে মারধর করতে থাকে বিনা কারণেই। গোটা ঘটনার ভিডিও তোলার পর রাত ২.৩০ টে নাগাদ ঊষসী এফআইআর দায়ের করতে যান চারু মার্কেট থানায়। অভিযোগ, সেখানে আক্রান্ত চালকের বয়ান নিতে চাননি সেখানকার কর্তব্যরত পুলিশ। যদিও প্রশাসনের দাবি, পরে পুলিশ প্রধানের নির্দেশে তাঁরা চালকের এফআইআর নিয়ে তদন্ত শুরু করে।
"অনেক তর্ক-বিতর্কের পর থানার অফিসার আমার অভিযোগ নিলেও চালকের দায়ের করা এফআইআর নিতে অস্বীকার করেন। তাঁর যুক্তি, একই ঘটনায় দু-জনের অভিযোগ নেওয়া আইনবিরুদ্ধ।" গতকাল ফেসবুকে এমনটাই জানান ঊষসী। পুলিশি অব্যবস্থার কথা প্রকাশ্যে আসতেই পরে সাসপেন্ড করা হয় চারু মার্কেট থানার সাব ইন্সপেক্টরকে।
ফোর্ট উইলিয়ামে সেনাকর্মীর হাতেই ধর্ষিতা সহকর্মীর নাবালিকা সন্তান; অভিযুক্তকে গ্রেফতার
সেই রাতেই ঊষসী পুরো ঘটনা এবং ভিডিও আপলোড করেন ফেসবুকে। জানান, উবের চালক নিগৃহীত হোয়ার সময় তিনি ভিডিও করতে করতে স্থানীয় কর্তব্যরত পুলিশকে ডাকেন। সাহায্য করার বদলে তিনি অন্য থানায় যওয়ার পরমার্শ দেন। কারণ তাঁর যুক্তি, পুরো ঘটনাই ঘটেছে অন্য জুরিডিকশনে। এমনকি ঘটনাস্থল থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে থানা অবস্থিত হলেও দিব্যি দাপিয়ে দৌরাত্ম্যের সাহস দেখাতে পেরেছে দুষ্কৃতীরা।
অবশেষে ভবানীপুর থানার দুই পুলিশ অফিসার এসে অভিযোগ নেন। ততক্ষণে রাত গভীর। জানিয়েছেন উষসী।
গতকাল, ঊষসীর অভিযোগের ভিত্তিতে এবং সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন তিনি। পরে এক পুলিশ অফিসার জানান, অভিযুক্তের দল এক আগেও একাধিক বার ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করেছে এই অঞ্চলে।