নৃশংস এই ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ে।
আজমগড়: খুন ও ধর্ষণের (Rape and Murder) অভিযোগে এক ৩৮ বছরের ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, অভিযুক্ত ব্যক্তি এক দম্পতি ও তাদের শিশুপুত্রকে হত্যা করেছে এবং তাঁদের অন্য দুই সন্তানকে জখম করেছে। পাশাপাশি মহিলা ও তাঁর ১০ বছরের কন্যাকে ধর্ষণ করার অভিযোগও রয়েছে ওই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ে (Uttar Pradesh)। জানা গিয়েছে, ওই পরিবারের উপরে হামলার পরে তারা অচেতন পড়লে ওই ব্যক্তি ধর্ষণ করে। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম নাসিরুদ্দিন। গত ২৪ নভেম্বর সে ওই পরিবারের উপরে আক্রমণ করে। হাতে একটি ইঁট নিয়ে সে ওই পরিবারের প্রধান ব্যক্তি ৩৫ বছরের যুবককে হত্যা করে।
এরপর ওই যুবকের স্ত্রী ও তার শিশুপুত্রকে মারধর করে। তাতেই তারা অচেতন হয়ে পড়ে। এরপরও তিন ঘণ্টা অভিযুক্ত ওই বাড়িতে ছিল। সেই সময় সে ওই মহিলা ও ১০ বছরের বালিকাকে ধর্ষণ করে।
আজমগড়ের পুলিশ প্রধান ত্রিবেণী সিংহ জানিয়েছেন, পাঁচজন ঘরে ঘুমোচ্ছিল। সেই সময় অভিযুক্ত ঘরে ঢোকে ইঁট হাতে। সে নিশ্চিত হয়, পরিবারের প্রধান ব্যক্তিটি মারা গিয়েছে। তখন ওই মহিলা ও তাঁদের শিশুপুত্রটি অচেতন হয়েছিলেন। আমরা জানতে পেরেছি সে ‘সেক্স পিল' ও জন্ম নিরোধক ব্যবহার করে ধর্ষণ করে। সে জানিয়েছে, জন্ম নিরোধকের ব্যবহার সে এই জন্যই করেছিল যাতে ধর্ষণের প্রমাণ না মেলে।''
তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘‘সে জানিয়েছে, পরের তিন ঘণ্টা ধরে ওই মহিলা এবং তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করে সে। তারপর তাদের নগ্ন অবস্থায় রেখে শরীরের উপরে চাদর জড়িয়ে দিয়ে সে ওখান থেকে পালিয়ে যায়।''
পুলিশ আরও জানিয়েছে, পুরো ঘটনাটি মোবাইল ক্যামেরায় বন্দি করে তার শ্যালিকাকে দেখাতে চেয়েছিল অভিযুক্ত। তার শ্যালিকা ভিডিওটি দেখতে চাননি। বলেছিলেন, ‘‘ঈশ্বর তোমাকে কখনও ক্ষমা করবেন না এর জন্য।''
পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি যৌন বিকৃত।
নাসিরুদ্দিনকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
(তথ্যসূত্র: আইএএনএস)