Social Media Crackdown: ৯,৩৭২ টি টুইটার, ৯,৮৫৬ টি ফেসবুক এবং ১৮১ টি ইউটিউব প্রোফাইল বন্ধ করে দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ
হাইলাইটস
- উত্তরপ্রদেশে উস্কানিমূলক পোস্ট দিয়ে গ্রেফতার ১২৪ জন
- গোটা রাজ্যে চলছে ব্যাপক ধরপাকড়
- সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে যোগী প্রশাসন
লখনউ: উত্তরপ্রদেশের সাম্প্রতিক অশান্তি থামাতে কড়া হাতে দমন শুরু করল যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসন, গত সপ্তাহেই চরম বিক্ষোভ-আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সে রাজ্য। পরবর্তীতে তদন্তে নেমে প্রাথমিকভাবে যে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগ ওঠে তাঁদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়। কিন্তু শুধু এতেই ক্ষান্ত দেয়নি যোগী রাজ্যের পুলিশ (UP Police), তাঁরা এখন সোশ্যাল মিডিয়াতেও কড়া নজরদারি শুরু করেছে। "উস্কানিমূলক বিষয়" পোস্ট করার অভিযোগে সে রাজ্যে (Uttar Pradesh) গ্রেফতার করা হয়েছে ১২৪ জনকে। পাশাপাশি ১৯ হাজার অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে উত্তেজনা ছড়ানোর অভিযোগ ওঠায় সেই অ্যাকাউন্টগুলির (Social Media) দিকেও নজরদারী চালাচ্ছে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। প্রায় ২০,০০০ সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট, ৯,০০০ এরও বেশি টুইটার এবং ফেসবুক প্রোফাইলের দিকে নজর রাখার পাশাপাশি অন্যভাবে যাতে রাজ্যে অশান্তিতে উস্কানি না ছড়ানো হয় সেদিকেও খেয়াল রাখা হচ্ছে।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, "সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ানোর অভিযোগে আপাতত ১২৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৯৩ টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ১৯,৪০৯ টি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ৯,৩৭২ টি টুইটার, ৯,৮৫৬ টি ফেসবুক এবং ১৮১ টি ইউটিউব প্রোফাইল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে"।
উত্তরপ্রদেশের বহু জায়গায় ফের বন্ধ করা হল ইন্টারনেট
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলাকালীন সহিংসতার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত অবস্থায় এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বহু মানুষ, ওই হিংসায় গোটা উত্তর প্রদেশে মারাও গিয়েছেন বেশ কয়েকজন। যোগী রাজ্যের রামপুরে দুই ডজনেরও বেশি মানুষকে সহিংস বিক্ষোভের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ সরকারি সম্পত্তির ক্ষতিপূরণ চেয়ে রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে নোটিস পাঠানো হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের পুলিশ প্রধান ওপি সিং বলেন, "আমরা নিরপরাধদের স্পর্শ করছি না কিন্তু আমরা সহিংস বিক্ষোভের সঙ্গে জড়িতদেরও রেহাই দেব না। আর এ কারণেই আমরা বহু সংস্থার সক্রিয় সদস্যদের গ্রেফতার করেছি, সে তাঁরা পিএফআই দলের সদস্যই হোন বা অন্য কোনও রাজনৈতিক দলেরই হোন না কেন"।
ভাঙচুরের দায় কার? ভিডিওর দাবি ঘিরে এবার ইউপি বনাম এমপি পুলিশ
১৯ ডিসেম্বর ও ২১ ডিসেম্বর, উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় হিংসা ছড়িয়ে পড়ে, ২১ জন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে বেশীরভাগেরই শরীরে গুলির ক্ষত পাওয়া যায়। অথচ রাজ্য পুলিশ জানায় যে, প্লাস্টিক ও রবারের বুলেট ছাড়া অন্য কোনও গুলি তাঁরা ব্যবহার করেনি। শুধুমাত্র বিজনৌরেই প্রকাশ্যে গুলি চালায় বলে স্বীকার করে নিয়েছে তাঁরা, সেখানে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় ২০ বছরের এক সিভিল সার্ভিস পরিক্ষার্থীর।
দেখুন এই ভিডিও: