উত্তরপ্রদেশের জেলে গুলি করে হত্যা করা হল কুখ্যাত গ্যাংস্টার মুন্না বজরঙ্গিকে। তাকে হত্যার হুমকি নিয়ে তার স্ত্রী অভিযোগ করার এক সপ্তাহের মধ্যেই ঘটল এই ঘটনা। 2005 সালে বিজেপির এক নেতাকে হত্যার অভিযোগে আজ সকালেই বাঘপত আদালতে তাকে তোলার কথা ছিল।
এই ঘটনার পরে ওই জেলের কারাধ্যক্ষ এবং তাঁর দুই ডেপুটিকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে।
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটে সকাল 6:30 নাগাদ। বাঘপতের কারাগারের বাকি বন্দিরা ওই সময় চা খাচ্ছিল। তখনই আচমকা আরেক বন্দি সুনীল রাথিয়াত গুলি করে মুন্না বজরঙ্গিকে। সঙ্গে সঙ্গেই লুটিয়ে পড়ে সে। মৃত্যু হয় তার। রবিবারই এই কুখ্যাত গ্যাংস্টারকে ঝাঁসির জেল থেকে বাঘপতে আনা হয়েছিল।
মুন্না বজরঙ্গি, যার আসল নাম প্রেম প্রকাশ, 2009 সালের অক্টোবর মাসে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল মুম্বাই থেকে। বিজেপির বিধায়ক কৃষ্ণানন্দ রাইকে হত্যা করার অপরাধে। 2005 সালে একটি একে-47 থেকে একশোরও বেশিবার গুলি করা হয়েছিল সেই বিধায়ককে।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, “আমি বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি এবং কারাধ্যক্ষকে সাসপেন্ড করে দিয়েছি। জেলের ভিতর এমন ঘটনা ঘটলে তা স্বাভাবিকভাবেই অত্যন্ত দুশ্চিন্তার বিষয়। খুব তাড়াতাড়িই শুরু হবে তদন্তপ্রক্রিয়া এবং এই ঘটনায় দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে”, বলেন তিনি।
মুন্না বজরঙ্গির স্ত্রী গত সপ্তাহেই পুলিশকে তাঁর স্বামীর প্রাণসংশয়ের ব্যাপারটি নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। মুন্না বজরঙ্গিকে হত্যা করার যে একটি চক্রান্ত চলছে, তাও জানিয়েছিলেন তার স্ত্রী। “আমি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে জানাতে চাই, আমার স্বামীর প্রাণসংশয় রয়েছে। ভুয়ো এনকাউন্টারে তাকে হত্যা করার চক্রান্ত চলছে বলে জানতে পেরছে আমি”, গত মাসের 29 তারিখ ওই গ্যাংস্টারের স্ত্রী সীমা সিংহ এই কথা বলেন।
2012 সালে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে আপনা দল থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছিল মুন্না বজরঙ্গি।
1998 সালে দিল্লিতে একটি এনকাউন্টারে ন’বার গুলি খাওয়ার পরেও বেঁচে গিয়েছিল এই কুখ্যাত গ্যাংস্টার।