UP Crime: কানপুর পুলিশ জানিয়েছে এই ঘটনায় অভিযুক্ত সন্দেহে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে
হাইলাইটস
- উত্তরপ্রদেশের কানপুরে এক মহিলার মৃত্যু, নির্মম মারধরের ফলে মৃত্যু হয় তাঁর
- মহিলাকে মারধর করে তাঁর মেয়েকে শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত কয়েকজন
- মামলা প্রত্যাহারের জন্যে চাপ সৃষ্টি করতে ওই মারধর করা হয়
কানপুর: নাবালিকা মেয়ের শ্লীলতাহানিতে (Molestation) অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আক্রমণে এবার প্রাণ হারাতে হল উত্তরপ্রদেশের (UP Crime) কানপুরের এক মহিলাকে। কানপুরের (Kanpur) একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয় বছর চল্লিশের ওই মহিলার। এই ঘটনায় আরও একবার শিউরে উঠল দেশ। ঘটনা পর ৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ পেয়েছে যাতে দেখা যাচ্ছে, লাল কুর্তা পরা এক মহিলা পড়ে আছেন মাটিতে। আর পা দিয়ে তাঁর মুখে সমানে লাথি মারছে সাদা পাঞ্জাবি পরা একটি লোক। কানপুরে এক বাড়ির ছাদ থেকে তোলা হয় ওই ভিডিও। জানা গেছে, এর আগে ওই মহিলার নাবালিকা মেয়ের শ্লীলতাহানি করেছিল ছয় দুষ্কৃতী। পুলিশে অভিযোগ জানালে গ্রেফতার করা হয় তাদের। এরপর জামিনে মুক্তি পেয়ে শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্তরা হানা দেয় নিগৃহীতা কিশোরীর বাড়িতে। নিগৃহীতা নাবালিকা ও তাঁর মাকে বেধড়ক মারধর করে তারা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৪০ বছরের ওই মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে মৃত্যু হয় তাঁর।
Nirbhaya case: ১ ফেব্রুয়ারি ভোর ৬ টায় ফাঁসি নির্ভয়া গণধর্ষণ মামলার ৪ আসামির
১৩ বছরের কিশোরীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে আবিদ, মিন্টু, 7, চাঁদবাবু, জামিল ও ফিরোজকে গ্রেফতার করা হলেও স্থানীয় আদালত থেকে জামিন পেয়ে যায় তারা।
পুলিশ জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার দলবল নিয়ে নাবালিকার বাড়িতে চড়াও হয় জামিনে মুক্তিপ্রাপ্তরা। কিশোরীর পরিবারকে শ্লীলতাহানির মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে তারা। কিন্তু মেয়েটির মা তাতে রাজি না হয় বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। মারধর করা হয় ওই পরিবারের অন্য এক মহিলা সদস্যকেও। ঘটনার পর গুরুতর আহত অবস্থায় কিশোরীর মাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে মারা যান তিনি।
পুলিশ সুপার (পূর্ব) রাজকুমার আগরওয়াল জানান, হামলাকারীদের মধ্যে ৩ জন এখনও অধরা । বাকি তিন জনকে ঘটনার তিন দিনের মাথায় গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার নিগৃহীত মহিলার মৃত্যু হওয়ায়, পুলিশ ধৃতদের বিরুদ্ধে নতুন করে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে।
Nirbhaya Case:"রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে এই ঘটনাকে ব্যবহার করা হচ্ছে": ভেঙে পড়লেন নির্ভয়ার মা
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১৮ সালে নিহত মহিলার নাবালিকা মেয়ে শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছিল। সেই ঘটনায় পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করে, ৩৫৪সি ধারা ছাড়াও পকসো আইনে পৃথক মামলা দেয়। তার পরেও অভিযুক্তরা আদালতে জামিন পেয়ে যায়। এরপরেই নাবালিকার বাড়িতে এসে তাঁর মাকে মামলা প্রত্যাহারের জন্যে হুমকি দিতে থাকে তারা। তাদের কথায় রাজি না হওয়ায় নির্মমভাবে অত্যাচার করা হয় মহিলার উপর, যার ফলেই মৃত্যু হয় তাঁর।