গোলাপ দিয়ে প্রেম নিবেদন। তারপরেই টেডি দিয়ে হাগ করে ধাপে ধাপে ভালোবাসার কথা বলা। ভ্যালেনটাইনস ডে (Valentine's Day)-এর আগে সেই চূড়ান্ত দিন। যেদিন ঠোঁটে ঠোঁটে ব্যারিকেড করে প্রেমের শপথ নিয়ে একসঙ্গে পথা চলার দিন, কিস ডে (Kiss Day)। পাশাপাশি, দিন উদযাপনে কাপের গায়ে আপনাদের ছবি, শায়েরি (চুম্বন ডে শায়রি), মেসেজ বা বার্তা পাঠাতে পারেন। কারণ, আজ আপনার ডাকে সঙ্গিনীর সাড়া দেওয়া মানে জীবনভর তিনিই আপনার ভ্যালেনটাইন।
৭ দিনে ৭ সুগন্ধি, কোনটা ছেড়ে কোনটা নেবেন?
কেন পালিত হয় এই দিন?
অনেকেই বলেন, কপালে চুম্বন করলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। সঙ্গীর প্রতি আপনার আস্থা জাগায়। বিশেষজ্ঞেরা বলেন, ঠোঁটে ঠোঁট রাখলে সম্পর্কের দূরত্ব খুব সহজেই কমে যায়। অনেকেই গালে চুম্বনকে মনে করলে মনে করেন এটি বোধহয় শরীরী ভালোবাসার প্রথম ধাপ। গালে ভালোবাসার চিহ্ন এঁকে দেওয়া কিন্তু একেবারেই চাই নয়। বরং, আপনি সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে কতটা ভালোবাসেন সেই অনুভূতির প্রকাশ। এছাড়া, দীর্ঘদিনের ব্যবধান ঘোচাতে, অবসাদে ডুবে থাকা মনে প্রেমের জোয়ার আনতে অথবা 'শুধু তোমাকেই চাই'....এই কথা মুখে না বলে স্পর্শের মাধ্যমে বোজাতে ঠোঁটে ঠোঁটে ব্যারিকেড করতেই পারেন। আজ তারই দিন।
৭ দিনে ৭ সুগন্ধি, কোনটা ছেড়ে কোনটা নেবেন?
চুমুর ছোঁয়ায় শরীর উতরোল?
প্রতি বিষয়েরই তো ভালো-মন্দ আছে? কাছের মানুষের ঘনিষ্ঠ হওয়ারও কিন্তু উপকারিতা অনেক। বিশেষজ্ঞদের মতে, চুম্বন মনের পাশাপাশি শরীরের জন্যও খুবই উপকারি। একটি ১০ সেকেন্ডের চুম্বনে ৮০ মিলিয়ন ভাল ব্যাকটিরিয়ার আদানপ্রদান হয় দু'জনের শরীরে। যা শরীরের জন্য খুবই উপকারি। এবং এই ভালো ব্যাকটিরিয়া রোগের বিরুদ্ধে শরীরে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে।
কখন ঠোঁটে ঠোঁট রাখবেন
কিস ডে মানে গায়ের জোরে চুম্বন? একেবারেই নয়। সূক্ষ্ম অনুভূতিকে একেবারেই গদ্যের মাটিতে আছড়ে ফেলে স্থূল করে তুলবেন না। বরং রোম্যান্টিক সিনেমা দেখুন। একসঙ্গে সময কাটান একটা সময় আসবে খন আপনি কাছে টানলে সঙ্গিনী বাধা দেবেন না। চুম্বনের জন্য না হয় সেই মুহূর্ত তোলা থাক! ভালোবাসার আবেশে ভরানো সেই মুহূর্তে কিন্তু গায়ের জোর খাটে না।
Valentine's Special Menu: প্রেম জমে মাখন পাতে ফিউশন বাটার প্রন টার্টার যখন
প্রথম চুম্বন প্রথম ভালোলাগা....
জীবনে সব মুহূর্তেরই আলাদা এক মাহাত্ম্য আছে। প্রথম প্রেমের মতোই প্রথম চুম্বন....প্রথম আদর, প্রথম ভালোবাসার কথা জানানো----সেই অনুভূতি বোধহয় ভোলার নয়। সেই অনুভূতি যাতে কোনোভাবে নষ্ট না হয় বা তেতো অভিজ্ঞতায় পরিণত না হয় তার জন্য সজাগ থাকুন। বন্ধুনিকে স্পর্শ যেন আপনার ভালোবাসাকেই প্রকাশ করে, শরীরী চাহিদার উদাহরণ যেন না হয়ে ওঠে।