This Article is From Feb 17, 2019

বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে 'যান্ত্রিক ত্রুটি', টুইট যুদ্ধ রাহুল ও পীযুষ গোয়েলের মধ্যে

ভারতীয় রেলের জারি করা একটি বিবৃতি অনুযায়ী, দেশের এই দ্রুততম ট্রেন, যার আরেক নাম- ট্রেন ১৮, সেটি একটি যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হওয়ার জন্য তিন ঘন্টা দাঁড়িয়েছিল।

বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে 'যান্ত্রিক ত্রুটি', টুইট যুদ্ধ রাহুল ও পীযুষ গোয়েলের মধ্যে

The Vande Bharat: ১৭ ফেব্রুয়ারি দিল্লি থেকে বারাণসী প্রথম যাত্রা শুরু করে এই ট্রেনটি

নিউ দিল্লি:

ভারতের দ্রুততম ট্রেন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের প্রথম সফর বারাণসি থেকে দিল্লি পর্যন্ত হওয়ার বেশ কয়েকঘন্টা বাদে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেছিলেন যে, এই সফরের মাঝে বড় কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি ঘটে। তা নিয়ে সমালোচনায় মুখর হন তিনি। তার জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযুষ গোয়েল শনিবার বলেন, এই 'বন্দে ভারত এক্সপ্রেস' আসলে বহু ভারতীয় শ্রমিকের কঠোর পরিশ্রমের ফল। তাই রাহুল গান্ধী এভাবে এত হাজার হাজার শ্রমিকের পরিশ্রম ও সততাকে আক্রমণ না করলেই পারতেন। ভারতীয় রেলের জারি করা একটি বিবৃতি অনুযায়ী, দেশের এই দ্রুততম ট্রেন, যার আরেক নাম- ট্রেন ১৮, সেটি একটি যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হওয়ার জন্য তিন ঘন্টা দাঁড়িয়েছিল। এই ঘটনার খানিকক্ষণ পরেই টুইটারে রাহুল গান্ধী লেখেন, "মোদীজি, আমার মনে হয়, আপনার এই 'মেক ইন ইন্ডিয়া' নিয়ে ফের ভালো করে ভাবা দরকার। অসংখ্য মানুষ কিন্তু মনে করেন যে, আপনার এই 'মেক ইন ইন্ডিয়া' সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। আমি কেবল একটা ব্যাপারে আপনাকে নিশ্চিত করতে পারি, তা হল, কীভাবে এটির আরও উন্নতিসাধন করা যায়, তা নিয়ে কংগ্রেস কিন্তু ভাবনাচিন্তা করছে"।

যদিও, রাহুল গান্ধীকে 'জবাব' দিতে  বেশিক্ষণ সময় নেননি পীযুষ গোয়েল। তিনি ফের টুইট করে বলেন, "যেভাবে কঠোর পরিশ্রম এবং সততাকে আক্রমণ করলেন রাহুল গান্ধী, তাকে নিন্দা করার কোনও ভাষা নেই আমার কাছে। ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ার, প্রযুক্তিবিদ, শ্রমিক- সকলকেই অপমান করলেন রাহুল গান্ধী। দয়া করে মনোভাব বদলান এবার। 'মেক ইন ইন্ডিয়া' কেটি কোটি ভারতবাসীর জীবনের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে। আপনাদের পরিবার তো ৬০ বছর ধরে সময় পেয়েছিল এই মানুষগুলোর জন্য কিছু করার। তা, এই সময়টা কি যথেষ্ট নয়?"

অতি বিষণ্ণ কয়েকটি মুহূর্তের সমাবেশের মধ্য দিয়েই যাত্রা শুরু করেছিল ভারতের দ্রুততম ট্রেন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। বৃহস্পতিবার দেশের সেনার ওপর সবথেকে বড় জঙ্গিহানা ঘটে যাওয়ার পরদিনই এই ট্রেনটির উদ্বোধন করা হয় পূর্বনির্ধারিত সূচি মেনেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুক্রবার এই ট্রেনটির উদ্বোধন করেন দিল্লি থেকে। সেই সময়ের পরিবেশটির সুর বৃহস্পতিবারের ঘটনার জন্যই ছিল অতি নিচু তারে বাঁধা। রেলমন্ত্রী পীযুষ গোয়েল বলেন, যেভাবে মুম্বাই ওদের জবাব দিয়েছিল, যেভাবে গোটা ভারত ওদের বহুবার জবাব দিয়েছে, সেই ভাবেই বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনালগ্নটিকেও ওদের প্রতি দেশবাসীর জবাব হিসেবেই ধরা হোক। তিনি আরও বলেন, জঙ্গিদের এর থেকে সমুচিত জবাব দেওয়া আর কিছু হতে পারে না। আমাদের সেনা, আমাদের দেশের নাগরিক কেউই ওদের কাছে মাথা নত করবে না। 

১৭ ফেব্রুয়ারি দিল্লি থেকে বারাণসী প্রথম যাত্রা শুরু করে এই ট্রেনটি। এই ট্রেনে সফর করতে চাইলে টিকিট দাম কত হবে তা ইতিমধ্যেই প্রকাশ করা হয়েছে। চেয়ার কারে সফর করতে চাইলে খরচ হবে ১৭৬০ টাকা এবং এক্সিকিউটিভ ক্লাসের ভাড়া হবে ৩৩১০ টাকা। টিকিটের দামের মধ্যেই খাবারের দাম অন্তর্ভুক্ত।

বন্দে ভারত এক্সপ্রেস প্রতি ঘণ্টায় ১৮০ কিমি গতিতে যেতে পারে তবে, গতি সংক্রান্ত সীমাবদ্ধতার কারণে এটি প্রতি ঘন্টায় ১৩০ কিলোমিটার গতিতে চলবে। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস দিল্লি থেকে সকাল ৬ টায় যাত্রা শুরু করে দুপুর ২ টো নাগাদ বারাণসী পৌঁছবে।

 

 

.