'কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়', নাইডুর মন্তব্যে স্পষ্ট হল সরকারের অবস্থান।
হাইলাইটস
- Don't want others to interfere in our internal affairs: Venkaiah Naidu
- "We are not warmongers. We are peace-loving citizens" said Vice President
- But if anybody tries to attack us, will give them fitting reply: Mr Naidu
বিশাখাপত্তনম: পাকিস্তানকে হুঁশিয়ার করলেন উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু (Vice President M Venkaiah Naidu)। ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলালে উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে। সাফ জানিয়ে দিলেন তিনি। বুধবার বিশাখাপত্তনমে এক অনুষ্টানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে উপরাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমরা কোনও দেশকে আক্রমণ করিনি। আগামীতেও কাউকে আক্রমণ করবো না। বিশ্বকে আমরা আশ্বস্ত করতে চাই। কিন্তু, কেউ যদি আমাদের উপর হামলা করার চেষ্টা করে তবে আমরা যুৎসই জবাব দেব। যা তারা চিরকাল মনে রাখবে।' তাঁর সংযোজন, ‘আমি বিশেষ করে বলতে চাই ভারত যুদ্ধবাজ নয়। আমরা শান্তিপ্রিয় নাগরিক।' উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডুর মন্তব্যে যুদ্ধ নিয়ে সরকারের অবস্থান আরও একবার স্পষ্ট হলে বলে মনে করা হচ্ছে।
কাশ্মীরকে ভারতে বিষয় বলে জানান উপরাষ্ট্রপতি। তাঁর কথায়, ‘আমরা অন্য কোনও দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মাথা গলাই না। আশা করবো অন্যরা তা করবে। কাশ্মীর নিয়ে তাদের আলোচনার কী আছে? কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ।' এরপরই নাইডু বলতে থাকেন, ‘টম, ডিক, হ্যারি যে যখন পেরেছে ভারতে এসে রাজত্ব করেছে, ধ্বংস করেছে, লুঠ করেছে, প্রতারণা করেছে ভারতবাসীর সঙ্গে। আমাদের বিশ্বাস নিয়ে খেলেছে।'
পাকিস্তানের না করেই বেঙ্কাইয়া নাইডু জানান, ‘প্রতিবেশী এক দেশ জঙ্গিদের আর্থিক সহ নানাভাবে মদত দিচ্ছে। প্রশিক্ষণে সাহায্য করছে। তারা বুঝতে পারছে না, এর ফলে তারা মানবতারা বিরুদ্ধে কাজ করছে। এমনকি নিজের দেশেরও ক্ষতি করে চলেছে। অদূর ভবিষ্যতে যা তারা বুঝতে পারবে।'
জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার রদ করেছে কেন্দ্র। রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে ভাগ করার ঘোষণা হয়েছে। তারপর থেকেই কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে সরব ইমরান খানের পাকিস্তান। ভারতের পদক্ষেপ উপত্যকার মানুষের মানবাধিকারে আঘাত বলে মনে করেছে তারা। বিষয়টিকে আন্তর্জাতিক দরবারে তুলে ধরে তারা। সাড়া না মেলায় বন্ধু চিনের সাহায্যে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনার বিষয় করা হয় কাশ্মীরকে। বৈঠকে যোগদানকারী ১৫ রাষ্ট্রই জানিয়ে দেন কাশ্মীর ভারত পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয়। ফ্রান্সে G-7 সম্মেলনের ফাঁকে ট্রাম্প মোদি আলোচনায় উঠে আসে কাশ্মীরের পরিস্থিতি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট পরিষ্কার জানিযে দেন, কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের বিষয়টি দিল্লি ও ইসলামাবাদের দ্বিপাক্ষিক বিষয়।
বিশ্বমঞ্চে কোণঠাসা ইমরান খান। তবুও দমার পাত্র নন তিনি। এক পাক ক্যাবিনেট মন্ত্রীর কথানুযায়ী, এই ইস্যুকে ফের একবার আন্তর্জাতিক দরবারে তোলা হবে। রাগে গজরালেও ব্যাকফুটে ইসলামাবাদ। মুখরক্ষায় এখন ভারতের বিমান যাতায়াতে তাদের আকাশসীমা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ইন্দো-আফগান বাণিজ্য রুটও বন্ধ।