Kathua Case: গণ ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তাল হয় দেশ
নিউ দিল্লি:
জম্মুর কাটোয়ায় ৮ বছরের নাবালিকাকে গনধর্ষণ (Kathua Case) করে খুনের ঘটনায় আজ রায়দান হবে। পাঞ্জাবের পাঠানকোঠের (Pathankot) একটি বিশেষ আদালতে (Special Court) এই মামলার শুনানি হয়েছে। ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ (Rape) এবং খুনের ধারায় চার্জশিট (Charge Sheet) জমা পড়েছে এদের মধ্যে একজন নাবালকও আছে। দোষ প্রমাণিত হলে সর্বনিম্ন যাব্বজীবন (Life Imprisonment ) কারাদণ্ড হতে পারে। যে সমস্ত ধারায় চার্জশিট (Charge Sheet) জমা পড়েছে তাতে ফাঁসির (Capital Punishment) সাজা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন আইনজীবী মহলের একটা বড় অংশ।
রইল দশটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
জুন মাসের ৩ তারিখ শুনানি প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। গোটা পর্বটি ক্যামেরাবন্দি হয়েছে। আদালত জানায় আজ মামলার রায়দান হবে। গোটা আদালত চত্বরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে না যায় তা নিশ্চিত করতে চাইছে প্রশাসন।
গত বছরের জানুয়ারি মাসের ১০ তারিখ জম্মুর কাঠুয়া জেলায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এই শিশুকন্যাকে অপহরণ করে স্থানীয় মন্দিরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। গোটা ঘটনায় উত্তাল হয় দেশ।
দিন সাতেক বাদে শিশুটির দেহ উদ্ধার হয়। তারও তিন দিন বাদে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার বয়স নিয়ে কিছুটা সংশয় থাকায় এখনও তার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। সে নাবালক কিনা তা খতিয়ে দেখবে জম্মু-কাশ্মীরের হাইকোর্ট। তারপরই এই মামলায় তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে কিনা।
গনধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গোটা দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে পথে নামে আসমুদ্রহিমাচল। ঘটনার তদন্ত শুরু করে ক্রাইম ব্রাঞ্চ। তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ একজন সাব-ইন্সপেক্টর ও হেড কনস্টেবলকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার মূল অভিযুক্ত প্রাক্তন রাজস্ব অধিকর্তা সাঞ্জি রাম মার্চ মাসের ২০ তারিখ আত্মসমর্পণ করে।
এই ঘটনায় তার ছেলে বিশাল, বন্ধু আনন্দ দত্ত এবং দুজন বিশেষ পুলিশ অফিসার যাদের নাম দীপক খাজুরিয়া এবং সুরেন্দর বর্মা সহ কয়েকজন জড়িত বলে দাবি পুলিশের।
ক্রাইম ব্রাঞ্চ তদন্ত করে বলে এই ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার নেপথ্যে আরও একটি বিষয় রয়েছে। একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে ভয় দেখাতেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করে ক্রাইম ব্রাঞ্চ।
এই ঘটনাকেও ঘিরে বিজেপি এবং তাদের তদকালীন জোট শরিক পিডিপি'র মধ্যে মতোভেদ দেখা দেয়। বিজেপি নেতা তথা রাজ্যের দুই মন্ত্রী চৌধুরি লাল সিং এবং প্রকাশ গঙ্গা অভিযুক্তদের হয়ে মিছিলে হাঁটেন।
মামলা কাশ্মীর থেকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
নাবালক ছাড়া অন্য অভিযুক্তদের গুরুদাস পুরের জেলে রাখা হয়। সুপ্রিম কোর্ট বলে অভিযুক্তদের হয়ে দু';জনের বেশি আইনজীবী লড়াই করতে পারবেন না।
মৃতার পরিবার তাদের আইনজীবী দীপিকা রাজাওয়াতকে মামলা থেকে সরিয়ে দেয়। তারা বলেন দীপিকা সময়ে আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন না। তবে দীপিকার দাবি মামলা হাতে নেওয়ার পর থেকেই হুমকি ফোন আসতে থাকে।
Post a comment