হাইলাইটস
- ঝড়টি এই মুহূর্তে ক্যাটাগরি ওয়ান সাইক্লোন হিসেবে রয়েছে
- গতিবেগ আছে ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার
- ২০ তারিখে এই ঝড়ের গতিবেগ দুশো কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় পৌঁছে যাবে
গত ৬ ঘণ্টায় তিন কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ পূর্ব দিক থেকে উত্তর-পশ্চিম দিকে ধীরে ধীরে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় আমফান (Amphan)। পারাদ্বীপ থেকে ৯৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে এই ঘূর্ণিঝড়টি। রাজ্যের দিঘার দক্ষিণ দক্ষিণ পূর্ব দিকে ১১৪০ কিলোমিটার দূরে এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়ার দক্ষিণ-পশ্চিম থেকে ১২৬০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে এই ভয়ঙ্কর ঝড় (Cyclone Amphan)। আগামী ১২ ঘন্টায় এটি অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তরদিকে যাত্রা করে বাঁক নিয়ে উত্তর উত্তর পূর্ব দিকে এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ এবং বাংলাদেশের হাতিয়ার ওপর ২০ তারিখ সন্ধ্যে বা রাত্রে আছড়ে পড়বে এই অতি ভয়ঙ্কর ঝড়।
ঝড়টি এই মুহূর্তে ক্যাটাগরি ওয়ান সাইক্লোন হিসেবে রয়েছে। গতিবেগ আছে ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার। এখনও পর্যন্ত আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে যে আজ রাতেই এই ঝড় (Cyclone Amphan) যে অবস্থানে রয়েছে, সেখানে তার গতি বেগ বেড়ে ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত হয়ে যাবে। তার পরের দিন অর্থাৎ ১৮ তারিখ গতিবেগ আরও বাড়বে । ১২৫ থেকে ১৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় এটি এগোতে থাকবে।তখন অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে সে। ১৮ তারিখ বিকেলের দিকেই এর গতিবেগ পৌঁছে যাবে ১৭০ কিলোমিটার।১৯ তারিখ অর্থাৎ মঙ্গলবার এটি ভয়ঙ্কর ঘুর্ণিঝড়ের রূপ নেবে।তখন তার গতিবেগ ১৬০ কিলোমিটার থেকে পৌঁছে যাবে ১৯০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। সেদিনই আরও ভয়ঙ্কর রূপ নিয়ে ২০ তারিখে এই ঝড়ের গতিবেগ দুশো কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় পৌঁছে যাবে।
আমফানের (Cyclone Amphan) ফলে উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যাপক বৃষ্টি হবে।উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, হুগলি, হাওড়া, পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টিপাত হবে। কোথাও কোথাও বৃষ্টির পরিমাণ ৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হতে পারে। বৃষ্টির পরিমাণ ২০ তারিখ অর্থাৎ বুধবার আরও বাড়বে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হবে। বৃষ্টির পরিমাণ সে ক্ষেত্রে ৭ থেকে ২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হতে পারে।মৎস্যজীবীদের জন্য সর্তকতা জারি করা হয়েছে । ১৮ থেকে ২১ তারিখের মধ্যে সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে বারণ করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের পাশাপাশি যারা ইতিমধ্যেই মাছ ধরতে গিয়েছেন তাদের ১৭ তারিখের মধ্যে ফিরে আসতে বলা হয়েছে সমুদ্র থেকে।