প্রয়াত নকশাল নেতা সন্তোষ রানা, রাজনৈতিক নেতাদের শোকপ্রকাশ
কলকাতা: এ যেন একটি অধ্যায়ের শেষ। শনিবার দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রয়াত ( died) হলেন পোড় খাওয়া নকশাল নেতা (Naxalite leader)সন্তোষ রানা। দীর্ঘদিন ধরেই ক্যানসারে (cancer) আক্রান্ত ছিলেন তিনি।বহুদিন ধরেই কর্কট রোগের জটিলতার সঙ্গে লড়াই করছিলেন তিনি, শনিবারই শেষ হল ৭৫ বছরের ওই নেতার জীবনযুদ্ধ।মৃত্যুর সময় প্রয়াত রানা রেখে গেলেন তাঁর স্ত্রীকে। ১৯৪৪ সালে পশ্চিমবঙ্গের অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার গোপীবল্লভপুরে জন্ম হয় তাঁর।তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে পাশ করেন। ৬০ ও ৭০-এর দশকে যখন এ রাজ্যে নকশাল আন্দোলনের উত্থান হয় সেময়ই সশস্ত্র আন্দোলনের পথ বেছে নেন সন্তোষ রানা।তৎকালীন নকশাল নেতা চারু মজুমদারের একনিষ্ঠ অনুগামী ছিলেন ওই নেতা।১৯৭৭ সালে তিনি জেলবন্দি থাকাকালীনই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং জন্মভিটে গোপীবল্লভপুর থেকেই বিধায়ক( MLA) হিসাবে নির্বাচিত হন। সন্তোষ রানা নেপালি মাওবাদি নেতা বাবুরাম ভট্টারাইয়েরও সমর্থক ছিলেন বলে জানা যায়।যদিও পরে তাঁর রাজনৈতিক জীবনে সশস্ত্র বিপ্লবের পথ থেকে সরে আসেন ওই নকশাল নেতা।
২০১৮ তে নিজের রাজনৈতিক জীবনের আত্মকথন নির্ভর বই “রাজনীতির এক জীবন” বইটির জন্যে “আনন্দ পুরস্কার”-এ সম্মানিত করা হয় সন্তোষ রানাকে (Santosh Rana)।
প্রয়াত নকশাল নেতার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তাঁর দেহ চিকিৎসাশাস্ত্রের গবেষণার কাজের জন্যে দান করা হয়।নকশাল নেতার(Naxalite leader) প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারা। তবে রাজ্যের নকশাল ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন সন্তোষ রানা।