This Article is From Feb 19, 2019

ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে উত্তাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, নিগৃহীত হলেন উপাচার্য

মঙ্গলবার ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করার জন্য পড়ুয়াদের দাবিতে বৈঠকে বসেছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল বা কার্যনির্বাহী পরিষদ।

ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে উত্তাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, নিগৃহীত হলেন উপাচার্য

ছাত্র সংসদের নির্বাচন নিয়ে কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত ছিল এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি।

কলকাতা:

ফের তুমুল বিক্ষোভে উত্তাল হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ছাত্র সংসদের নির্বাচন নিয়ে কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত ছিল এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি। মঙ্গলবার ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করার জন্য পড়ুয়াদের দাবিতে বৈঠকে বসেছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল বা কার্যনির্বাহী পরিষদ। এছাড়া, সিসিটিভি বসানোর দাবিতেও বিক্ষোভ প্রদর্শন করছিলেন পড়ুয়ারা। কিন্তু সামনেই লোকসভা নির্বাচন বলে এই মুহূর্তে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন করা যাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই সিদ্ধান্ত শোনার পর যেন বিক্ষোভের আগুনে ঘি পড়ে! বৈঠক শেষ করে নিজের গাড়িতে উঠতে গেলে উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে বাধা দেন পড়ুয়ারা। শুরু হয় তুমুল ধস্তাধস্তি। অভিযোগ, উপাচার্যকে রীতিমত নিগ্রহ করা হয়।

অভিযুক্ত কনক সরকার আপাতত প্রবেশ করতে পারবেন না ক্যাম্পাসে, জানিয়ে দিল যাদবপুর

ক্ষোভে, বিরক্তিতে ফেটে পড়ে উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বলেন, “আমি অত্যন্ত অপমানিত। এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা যে আমার সঙ্গে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা ঘটাবে, তা ভাবতেই পারিনি। আমি এখন হাসপাতালে যাচ্ছি। আমি ওদের সঙ্গে কথা বলতে চাই, এটা জানানোর পরেও আমার সঙ্গে ধস্তাধস্তি করা হয়। জোরে ধাক্কা দেওয়া হয় আমাকে। রাস্তা আটকানোও হয় আমার”।

ফেসবুকে মহিলাদের নিয়ে মন্তব্য, অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে যাদবপুর

অন্যাদিকে, আর্টস ফ্যাকাল্টির স্টুডেন্ট ইউনিয়নের এক সদস্য দেবরাজ দেবনাথ বলেন, "উপাচার্যের নিরাপত্তারক্ষীরাই আমাদের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু করেন। মহিলাদের গায়েও হাত দেন তাঁরা। আমরা উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম। তার বদলে আমাদের কয়েকজন সদস্যকে মার খেয়ে আহত হতে হল"।

শিক্ষার পরিবেশ যাতে নষ্ট না হয়, তার দিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে নজর রাখতে বললেন রাজ্যপাল

তাঁর কথায়, "শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে এর আগেও অনেক বৈঠক হয়েছে। তবু এই ইস্যুটিকে উপাচার্য এড়িয়েই যাচ্ছিলেন। আজ যখন আমরা প্রশ্ন করতে গেলাম, তখন তিনি রীতিমত পালিয়ে গেলেন"।

এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "অত্যন্ত ন্যক্কারজনক এই ঘটনা। পড়ুয়াদের কাছ থেকে এমন আচরণ আশা করা যায় না। পড়ুয়াদের বুঝতে হবে যে, এইভাবে অশান্তির সৃষ্টি করে কোনও ফলাফলে পৌঁছনো যাবে না। তার জন্য ধৈর্য ধরতে হবে। আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করার দিকে নজর দিতে হবে। বিক্ষোভ প্রদর্শন করে নয়"।   

.