জেএনইউ-এর ভাইস চ্যান্সেলর এম জগদীশ কুমার প্রতিবাদরত পড়ুয়াদের উদ্দেশে আবেদন করলেন।
নয়াদিল্লি: জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (JNU) বা জেএনইউ-এর ভাইস চ্যান্সেলর (JNU Vice-Chancellor) এম জগদীশ কুমার প্রতিবাদরত পড়ুয়াদের উদ্দেশে আবেদন করেন নিজেদের ক্লাসে ফিরতে, কেননা পরীক্ষা একেবারে কাছে এসে পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে একটি ভিডিও বার্তায় তিনি এই আর্জি জানান। তিনি বলেন, তিনি উদ্বিগ্ন বাবা-মায়েদের কাছ থেকে ইমেল পাচ্ছেন। পড়ুয়ারাও অনেকেই ইমেল করছেন পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে একথা জানিয়ে। তিনি বলেন, ‘‘যদি আমরা এখনও ধর্মঘট চালিয়ে যাই পড়াশোনার ক্ষতি হয়, তাহলে তার প্রভাব হাজার হাজার পড়ুয়ার ভবিষ্যতের উপরে পড়বে।'' রবিবার পেশ করা ওই বার্তায় তিনি আরও বলেন, ‘‘আগামী কাল থেকে একটা নতুন সপ্তাহ শুরু হচ্ছে। এবং আমি অনুরোধ করব পড়ুয়ারা ক্লাসে ফিরুক ও গবেষণার কাজও শুরু করুক। ১২ ডিসেম্বর থেকে সেমিস্টার শুরু হচ্ছে। আর যদি তোমার ক্লাসে না ফেরো তাহলে তোমাদের ভবিষ্যতের স্বপ্ন নষ্ট হবে।''
রবিবার কয়েকজন অধ্যাপক একটি সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে অভিযোগ জানান, কিছু ছাত্র বাকিদের ভয় দেখিয়ে ক্লাস করতে দিচ্ছে না।
অযোধ্যা মামলার মতো বহু বিখ্যাত মামলার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন নতুন প্রধান বিচারপতি
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রমোদ কুমারও ছাত্রছাত্রীদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, ক্লাসে ফেরার জন্য।
তিনি একটি সার্কুলার জারি করে তাতে জানান, কিছু পড়ুয়ার ডাকা ধর্মঘটে বাকিদের পঠনপাঠনের সমস্যা হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, পড়ুয়াদের স্বার্থেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। ১২ ডিসেম্বর থেকে সেমিস্টার শুরুর কথা তিনিও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।
পাশাপাশি ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পিএইচডি থিসিস ও এমফিলের আবেদন জমা দেওয়ারও শেষ তারিখ। এই সময়সীমা যে কোনও ভাবে বর্ধিত করা হবে না সেকথা জানিয়ে দেন তিনি।
যদি ধর্মঘট তুলে না নেওয়া হয়, তাহলে হাজার হাজার পড়ুয়া যে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন সেকথা জানান তিনি।
ছাত্র ইউনিয়ন সোমবার সংসদ পর্যন্ত মিছিল করার কথা জানিয়েছে। সোমবার থেকেই সংসদে শীতকালীন অধিবেশন শুরু হচ্ছে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)