This Article is From Dec 25, 2019

এলাকা ছাড়ার বার্তা দেওয়া পুলিশের ভিডিও ‘ফেক’, জানাল দিল্লি পুলিশ

দিল্লি পুলিশ জানিয়ে দিল, উত্তর দিল্লির মুখার্জিনগরে কোচিং সেন্টার বন্ধ করার ব্যাপারে পুলিশের বার্তা দেওয়ার যে ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে তা ‘ফেক’।

দিল্লি পুলিশ টুইটারকে ভিডিওটি মুছে দেও?আর ব্যাপারে অনুরোধ করেছে।

নয়াদিল্লি:

দিল্লি পুলিশ (Delhi Police) বুধবার জানিয়ে দিল, উত্তর দিল্লির মুখার্জিনগরে (Mukherjee Nagar) কোচিং সেন্টারের দরজা বন্ধ করার ব্যাপারে পুলিশের বার্তা দেওয়ার যে ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে তা ‘ফেক' (Delhi Police Fake Video)। ওই ভিডিও সম্পাদিত। এমনই দাবি করেছে দিল্লি পুলিশ। পাশাপাশি পুলিশ এও জানিয়েছে, তারা টুইটারকে চিঠি লিখে ওই ভিডিও সরিয়ে নেওয়ারও আর্জি জানিয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে পুলিশ আধিকারিক বিজয়ন্ত আর্য বলেন, ‘‘আমরা একটি মামলা রুজু করেছি মুখার্জিনগরে পুলিশের ফেক বার্তার ভিডিওর যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা টুইটারকেও লিখেছি এই ভিডিও সরিয়ে নেওয়ার জন্য, কেননা এই ভিডিওটি সম্পাদিত।''

টুইটারে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে যেখানে এক পুলিশকর্মীকে কঠোরভাবে সকলকে এলাকা ছেড়ে ২৪ ডিসেম্বর চলে যেতে বলা হচ্ছে। তাদের ২ জানুয়ারি আবার ফিরতে বলা হয়েছে।

“সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করার দায়িত্ব জনগণের”, বিক্ষোভ নিয়ে বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

ভিডিওতে ওই পুলিশ আধিকারিককে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমরা সমস্ত পিজি, রেস্তোরাঁ, পাঠাগার ও কোচিং ক্লাস ২৪ ডিসেম্বর থেকে বন্ধ করে দিচ্ছি। টিকিট বুক করে বাড়ি ফিরে যাও। ২ জানুয়ারি ফিরে আসবে। শীতকালীন ছুটি হিসেবেই নাও। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভাল নয়। আমরা সব বন্ধ করে দিচ্ছি। কেউ কোনও অসভ্যতা করতে পারবে না। তোমরা বোঝো তো ১৪৪ ধারা?''

তাঁকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘‘কেন কেরিয়ার নষ্ট করতে চাইছ? যদি তোমরা নিজেদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করতে না চাও, ক্লাস ভুলে বাড়ি যাও।''

আদিত্যনাথের ‘‘বদলা'' মন্তব্যের পর সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগে নোটিশ ২৮ জনকে

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান চত্বরের কাছে অবস্থিত মুখার্জিনগর। সেখানে হাজার হাজার পড়ুয়া বাড়িভাড়া করে বা পেইং গেস্ট হিসেবে থাকে। 

হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে এমন ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর সৃষ্টি হয়েছে বিভ্রান্তির। অনেক বাড়িওয়ালাও সেখানে ভাড়া থাকা পড়ুয়াদের বাড়ি ফিরে যেতে বলেন। পরে পুলিশের কাছে গেলে জানা যায়, পুরোটাই ‘ফেক'।

নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইনে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ২০১৫ সালের আগে এদেশে আসা অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সমালোচকদের দাবি, এই আইনে মুসলিমদের সঙ্গে বৈষম্য করা হয়েছে এবং এই আইন সংবিধানে বর্ণিত ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তির পরিপন্থী।  

.