একটি থার্মাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে যে পাক সেনার মদতে সন্ত্রাসবাদীরা Line Of Control বরাবর অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে।
নয়া দিল্লি: সন্ত্রাসবাদীদের ভারতে অনুপ্রবেশ করতে যে মদত দিচ্ছে পাকিস্তানের সেনা বাহিনী তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ এবার মিলল হাতেনাতে। একটি থার্মাল ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে যে পাক সেনার মদতে সন্ত্রাসবাদীরা নিয়ন্ত্রণ রেখা (Line Of Control) বরাবর অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। আর ভারতীয় সেনার (Indian army) তরফে ওই সন্ত্রাসবাদীদের উদ্দেশে গুলি চালানো হচ্ছে এবং তাঁদের খতম করা হচ্ছে সেখানেই। ভারতীয় সেনা সূত্র জানিয়েছে, "৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকেই নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারতীয় পোস্টের কাছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বেশ কয়েকটি লঞ্চ প্যাড সক্রিয় করেছে। এগুলি নিয়ন্ত্রণ রেখা বা এলওসি থেকে মাত্র কয়েকশ মিটার থেকে দুই কিলোমিটার দূরে রয়েছে"।
এবছর ২,০০০-এরও বেশিবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন পাকিস্তানের, নিন্দায় সরব ভারত
"গুরেজ, মাচল, কেরান, তাঙ্গধর, উরি, পুঞ্চ, নওশেরা, সুন্দরবাণী, আরএস পুরা, রামগড়, কাঠুয়ার মুখোমুখি অঞ্চলগুলিতে এই লঞ্চ প্যাডগুলিতে ২৫০ জনেরও বেশি সন্ত্রাসবাদীরা আশ্রয় নিয়েছে", জানিয়েছে ভারতীয় সেনা বাহিনী।
পাকিস্তান সম্প্রতি পরপর অনেকগুলি অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছে; তার মধ্যে দুটি বা তিনটি অনুপ্রবেশের চেষ্টা সফলভাবে বানচাল করে ভারতীয় সেনা। ১০ সেপ্টেম্বর, পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করায় তার পাল্টা উত্তর দেওয়ার সময় সিপাহী গোলাম রসুল নামে এক পাকিস্তানি সেনাকেও গুলি করে হত্যা করে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
সেনা সূত্র জানিয়েছে, অনুপ্রবেশের সমন্বয় ও সুবিধার্থে অগাস্টের শুরু থেকেই কালিঘাটি এলাকায় একটি যোগাযোগ কেন্দ্রও চালু করা হয়েছে।
"পাকিস্তানের পাঞ্জাবে নতুন করে সন্ত্রাসবাদীদের নিয়োগ শুরু হয়েছে বলেও খবর এসেছে। লস্কর-ই-তৈবা (এলইটি) এবং জৈশ-ই-মহম্মদ (জেএম) এর দৌরা-এ-আম তাঁদের প্রশিক্ষণ দিতেও শুরু করেছে। এই প্রশিক্ষণ শিবির চলছে মুজাফফরাবাদ-মানশেরা-কোটলির বিভিন্ন জায়গায়", জানিয়েছে একটি সূত্র ।
সন্ত্রাসের আঁতুরঘর পাকিস্তান, কাশ্মীর নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে তাঁরা: ভারত
পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর অঞ্চলে লস্কর-ই-তৈবা ও জৈশ-ই-মহম্মদের ক্রমবর্ধমান কর্মকাণ্ডের বিষয়ে সূত্র জানিয়েছে যে বিশ্ব সন্ত্রাসবাদী তালিকায় স্থান পাওয়া হাফিজ সঈদ ও মওলানা মাসুদ আজহার ফের সক্রিয় হয়েছে এবং পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পুরোপুরি সমর্থন রয়েছে তাঁদের পিছনে।
"বিশ্বব্যাপী পদক্ষেপ নেওয়া সত্ত্বেও, পাকিস্তান সর্বদা সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রবিন্দুতেই থাকবে। সম্প্রতি হাজিপুর সেক্টরে দেখা এমন ঘটনা তা প্রমাণ করে দিয়েছে," স্পষ্ট জানায় সূত্রটি ।