Line of Control: সাদা পতাকাবাহী পাকিস্তানি সৈন্যরা তাঁদের সহকর্মীদের লাশ উদ্ধার করতে একটি পাহাড়ের পিছন থেকে বেরিয়ে আসে ।
হাইলাইটস
- যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করায় ভারতীয় সেনার গুলিতে মারা যায় ২ পাকিস্তানি সেনা
- ঘটনার প্রায় ২ দিন পর সাদা পতাকা হাতে ওই লাশ সংগ্রহ করে তাঁরা
- তাঁদের ওই দেহ সংগ্রহ করার সুযোগ দেয় ভারতীয় সেনা
নয়া দিল্লি: দিন কয়েক আগে নিয়ন্ত্রণ রেখায় (Line of Control) ফের যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গুলি চালায় পাকিস্তান (Pakistan) । এরপরেই এর প্রত্যুত্তরে পাল্টা গুলি চালায় ভারতীয় সেনা বাহিনীও। ভারতীয় সেনার (Indian Army) গুলিতে মারা যায় দুই পাক সেনা। ঘটনার প্রায় দু'দিন পরে পাকিস্তানি সেনারা একটি পাহাড়ের পেছন থেকে বেরিয়ে এসে তাঁদের সহকর্মীদের লাশ উদ্ধার করার জন্য সাদা পতাকা দেখায়। পাক সেনার তরফে ওই সাদা পতাকা দেখানো হয়েছে এই অভিপ্রায়ে যাতে সীমান্তের এপার থেকে ভারতীয় সেনা পাল্টা গুলি না চালায়। ভারতীয় সেনা জওয়ানরা গুলি চালানো থেকে বিরত থাকার ইঙ্গিত দিলে তাঁরা দুটো মৃতদেহ সংগ্রহ করে নিয়ে যায় । পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের (পিওকে) হাজিপুর সেক্টরের একটি পাহাড়ের পাদদেশের ওপারে চলে যায় পাক সেনা।
গত ১০ সেপ্টেম্বর, পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করায় প্রতিশোধ নিতে ভারতের তরফ থেকেও গুলি চালানো হয়।জানা গেছে, সিপাহী গোলাম রসুল নামে এক পাকিস্তানি সৈন্যকে ভারতীয় সেনা গুলি করে হত্যা করে সেই সময়।এরপরেই পাকিস্তানের পক্ষ থেকে তাঁদের সেনার লাশ উদ্ধারের চেষ্টায় ঘন ঘন গুলি চালানো শুরু করে। কিন্তু তাতে ফল হয় উল্টো। ভারতীয় সেনার গুলিতে প্রাণ হারায় সেদেশের আরও এক সেনা।
জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখায় ৫ ভারতীয় সেনার মৃত্যুর পাক দাবি খারিজ ভারতের
সূত্র মারফৎ খবর, টানা দু'দিন গুলি চালানোর পর ক্ষান্ত দেয় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। তাঁদের আরও এক সহকর্মীর মৃত্যু হওয়ার পরে হুঁশ ফেরে তাঁদের। তাঁরা বুঝতে পারে আক্রমণাত্মক উপায়ে তাঁরা পেরে উঠবে না, তাই শেষ পর্যন্ত সাদা পতাকা হাতে নিয়ে নিজেদের সহকর্মীরে লাশ উদ্ধার করতে আসে তাঁরা।
শুক্রবার তিন-চারজন পাকিস্তানি সেনাকে সাদা পতাকা হাতে নিয়ে ওই লাশের দিকে হাঁটতে দেখা যায়। সূত্র জানায়, ভারতীয় সেনাবাহিনী নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ভোলেনি তাই তাঁদের মৃতদেহগুলি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে দেয় তাঁরা ।
জম্মু ও কাশ্মীরে পাক সেনার অনুপ্রবেশ রুখল সেনা, দেখুন ভিডিও
ভারতীয় জওয়ানদের চালানো গুলিতে নিহত দুই পাক সেনা মূলত পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত পাঞ্জাবের বাসিন্দা।
এর আগে ৩০-৩১ জুলাই কেরান সেক্টরে ভারতীয় সেনার গুলিতে নিহত প্রায় সাত সেনা ও সন্ত্রাসবাদীদের লাশ উদ্ধার করার চেষ্টা করেনি পাকিস্তানি বাহিনী। সূত্র জানিয়েছে যে সম্ভবত কেরানের ওই লড়াইয়ে নিহতরা পাকিস্তানি পাঞ্জাবের নয়, তাঁরা ছিল পাকিস্তানের নর্দান লাইট ইনফ্যান্ট্রি (এনএলআই) বা কাশ্মীরি বংশোদ্ভূত ।
সূত্র বলছে "পাঞ্জাবি মুসলিম মারা গেলেই পাকিস্তান জেগে ওঠে। অন্য কোনও পাক সেনা মারা গেলে তাঁদের খুব বেশি যায় আসে না। কিন্তু পাঞ্জাবি মুসলিমদের ক্ষেত্রে সেটি হয় না" ।