বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্কের হাজার হাজার কোটি টাকার ঋণ বাকি রেখে দেশ ছেড়েছেন মালিয়া।
হাইলাইটস
- ব্যাঙ্কের ঋণ ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছেন মালিয়া
- প্রস্তাবের সঙ্গে অগুস্তা কাণ্ডের কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানালেন মালিয়া
- পরিচয়ের সঙ্গে যুক্ত হওয়া 'চোর' তকমা বদলাতে চান মালিয়া
নিউ দিল্লি: অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ড কাণ্ডে মধ্যস্থতাকারী সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে দেশে নিয়ে আসা হয়েছে। তাঁকে টানা জেরা করছে সিবিআই। এরই মাঝে ব্যাঙ্কের ঋণ ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছেন মালিয়া । তবে তাঁর এই প্রস্তাবের সঙ্গে অগুস্তা কাণ্ডের কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানালেন মালিয়া। টুইটে তাঁর দাবি তিনি নিজের পরিচয়ের সঙ্গে যুক্ত হওয়া চোর তকমা বদলাতে চান আর তাই টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন এর সঙ্গে অগুস্তার কোনও সম্পর্ক নেই। পাশাপাশি এই দুটি ঘটনার মধ্যে সম্পর্ক আছে বলে যারা মনে করনে তাঁদের উদ্দেশ করে মালিয়া বলেন, এই দুটি বিশ্যের মধ্যে কোন দিক থেকে যোগাযোগ খুঁজে বের করা হচ্ছে তা আমি জানি না। আমি সব সময় বলি দয়া করে টাকা ফেরত নিন। আমার পরিচয়ের সঙ্গে জড়িয়ে যাওয়া চোর শব্দের নাগপাশ থেকে মুক্ত হতে চাই।
দেশে ফিরলে কোথায় থাকবেন বিজয় মালিয়া
বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্কের হাজার হাজার কোটি টাকার ঋণ বাকি রেখে দেশ ছেড়েছেন মালিয়া। দীর্ঘ দিন ধরেই তাঁকে ফিরিয়ে আনতে আইনি লড়াই চলছে। আপাতত জামিনে মুক্ত থাকা মালিয়াকে কি দেশে ফিরতে হবে? তা জানা যাবে ১০ তারিখ।
বিদেশে থাকা মালিয়াকে কেন্দ্র করে একাধিক বিতর্ক হয়েছে। তবে তাঁর এক বিস্ফোরক দাবিকে কেন্দ্র করে কয়েক মাস আগে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তীব্র আকার ধারন করে। তিনি দাবি করেন দেশ ছাড়ার আগে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গে দেখা করে ব্যাঙ্ক ঋণ বাকি থাকার ব্যাপারটি মিটমাট করতে চেয়ে ছিলেন। বিজয় মালিয়ার এমন মন্তব্যে নতুন করে অক্সিজেন পায় বিরোধী শিবির। কংগ্রেস সহ বিভিন্ন বিরোধী দলের দাবি এর থেকে প্রমাণ হয়ে যায় কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্যেই দেশ ছেড়েছেন মালিয়া। মালিয়া জানান,তাঁর জেনিভাতে একটি বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়ার আগে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। আর তারপর দেশ ছাড়েন। পাল্টা ফেসবুক পোস্ট করেন অর্থমন্ত্রী। সেখানে তিনি লেখেন, বিজয় মালিয়া দাবি করেছেন আমার সঙ্গে তাঁর দেখা হয়েছিল। শুধু তাই নয় তাঁর দাবি তিনি রফাও করতে চেয়েছিলেন। এখানে তথ্যগত ফাঁক আছে। সেই 2014 সাল থেকে এ পর্যন্ত তাঁর (মালিয়া) সঙ্গে দেখা করার জন্য আমি কোনও সময় দিইনি। তাই তাঁর সঙ্গে আলাদা করে দেখা করার প্রশ্ন ওঠে না। কিন্তু তিনি রাজ্যসভার সাংসদ। আর মাঝে মধ্যে সভায় অংশ নিতে আসতেন। সেই সুযোগের অপব্যবহার করেছিলেন মালিয়া। আমি সভা থেকে বেরিয়ে আমার ঘরে যাচ্ছিলাম, তখন তাঁর সঙ্গে আমার দেখা হয়। তিনি আমার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সময় চান। পাশ দিয়ে যেতে যেতে আমি শুনেছিলাম তিনি বলছেন, আমি রফা কররা প্রস্তাব দিয়েছি।