This Article is From May 31, 2019

মানুষ মারার শাস্তি: পিটিয়ে মেরে চোখ খুবলে, থাবা কেটে নেওয়া হল চিতাবাঘের!

গ্রামবাসীরা আসামের বন বিভাগকে তাদের "অবহেলা"র জন্য দায়ী করেছে।

মানুষ মারার শাস্তি: পিটিয়ে মেরে চোখ খুবলে, থাবা কেটে নেওয়া হল চিতাবাঘের!

আজ সকালে গ্রামবাসীরা মেরে ফেলে বাঘটিকে

অসম:

সভ্য দুনিয়ার শাস্তি কী নির্মম! অনেকবারই মানুষ মেরেছে বাঘটি। খেয়েছে গ্রামবাসীদের গরু-মোষও। তারই শাস্তি হিসেবে আজ সকালে অসমের ভোরহাট অঞ্চলের ভেসেলিপাথার গ্রামের বাসিন্দারা পিটিয়ে মারে চিতাবাঘটিতে (Villagers In Assam Kill Leopard)। নৃশংসতার তখনও আরও বাকি। এরপরেই মৃত পশুর চোখ খুবলে তুলে নেয় তারা (Gouge Its Eyes Out)। কেটে নেয় চারটি থাবাও (Chop Off Paws)!

যদিও গ্রামবাসীদের দাবি, গত কয়েক মাস ধরে এলাকার মানুষজনের কাছে রীতিমতো ত্রাস হয়ে উঠেছিল বাঘটি (Leopard)। ফলে, নিজেদের এবং পোষ্যদের বাঁচাতে বাধ্য হয়ে বাঘটিকে আজ সকালে মেরে ফেলে তারা।

দিনকয়েক আগেই নাকি নীলেশ্বর চাঙ্গমাইয়ের ওপর ভয়ঙ্কর হামলা চালিয়েছিল বাঘটি। প্রাণে রক্ষা পেলেও নীলেশ্বরের অবস্থা আশংকাজনক। প্রথমে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল স্থানীয় চারাইদেও গ্রামীণ হাসপাতালে। অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় পরে স্থানান্তরিত করা হয় ডিব্রুগড় আসাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

গ্রামবাসীদের আরও অভিযোগ, মানুষের সঙ্গে সঙ্গে ইদানিং গ্রামের গৃহপালিত পশুদেরও নাকি একের পর এক মেরে ফেলছিল বাঘটি।

গ্রামবাসীদের মতে, অসম বনবিভাগের "অবহেলার" এর জন্য দায়ী। একই সঙ্গে অনেকবার দফতরকে জানিয়েও কোনও ফল পায়নি তারা। তারই ফলে আজ বন্যপ্রাণীর সঙ্গে মানুষের এই দ্বন্দ্ব।

প্রসঙ্গত, দু-বছর আগে আরও একবার এরকম নৃশংস ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল ডিব্রুগড়। সেবার একজন ষাট বছরের মহিলাকে মেরেছিল একটি চিতাবাঘ (Leopard)। শাস্তি হিসেবে সেবার বাঘটিকে মেরে তার মাংস খেয়েছিল গ্রামবাসীরা (Villagers In Assam Kill Leopard)!

.