পুরুলিয়া প্রসঙ্গে নবান্নে সাংবাদিকদের মমতা বলেন, সম্ভবত দু;’জনের মৃত্যু হয়েছে।
কলকাতা: পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা বন্ধ করতে শান্তি বজায় রাখার আবেদন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের দলকে শান্ত থাকার আবেদন করেছেন মমতা। পাশাপাশি নাম না করে বিজেপিকে আক্রমণও করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বোর্ড গঠন পক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকেই অশান্তির খবর আসতে শুরু করে। আর সোমবার এল মৃত্যুর খবর। বিজেপির দাবি পুরুলিয়ার জয়পুরে তাদের দুই কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে পুলিশে তরফে কিছু জানানো হয়নি। অন্যদিকে মালদায় দু’জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এই দু’জনই তৃণমূল কর্মী হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিলেন। তাঁদের মৃত্যুর কারণ শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। এরকম নানা ঘটনার পর তৎপর হলেন মুখ্যমন্ত্রী।
পুরুলিয়া প্রসঙ্গে নবান্নে সাংবাদিকদের মমতা বলেন, সম্ভবত দু;’জনের মৃত্যু হয়েছে। তাছাড়া গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক পুলিশ কর্মী। ওই জেলার আরও কয়েকটি জায়গায় পুলিশের উপর আক্রমণ হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। কোনও অবস্থাতেই পুলিশকে আক্রমণ করা উচিত নয়। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় প্রতিবাদ করার অন্য রাস্তা আছে।
মালদার ঘটনাটি তৃণমূলের দুটি গোষ্ঠীর লড়াই বলে মনে করা হচ্ছে। ওই জেলার গোপালপুর নামে একটি জায়গায় গ্রাম পঞ্চায়েত গঠন নিয়ে গোলমাল বাধে। তাতে সালাম সেখ এবং আজাহার সেখের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছে এক তিন বছরের শিশু-সহ আরও কয়েকজন। তারা সকলেই ভর্তি মানিকচক হাসপাতালে।
মালদা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কালীসাধন রায় জানিয়েছেন আমাদের দল তৃণমূলকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই আমদের কোনও জয়ী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি আর আমরা কোনও গোলমালেও ছিলাম না। ওখানে যা হয়েছে সবটাই তৃণমূলের নিজস্ব ব্যাপার। ওরা ঠিক করতে পারছিল না প্রধান কে হবেন। তবে এই অভিযোগ মানতে চাননি তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সাবিত্রি মিত্র। তিনি বলেন, কংগ্রেসের এক নেতার মন্তব্যের জেরে পরিস্থিতি এত খারাপ হয়েছে। জেলায় জেলায় সন্ত্রাস প্রসঙ্গে কংগ্রেসের পাশাপাশি তৃণমূলকে বিঁধেছে বিজেপিও।
এরকমই নানা পরিস্থিতির মাঝে শান্তি রক্ষার আবেদন করলেন মমতা। তাঁর কথায়, ‘ আমি সন্ত্রাসকে সমর্থন করি না। প্রতিটি মৃত্যু দুঃখের। আমি আমার দলকে জানিয়েছি বোর্ড গঠনের সময় শান্তি রক্ষা করতে হবে। ’ পাশাপাশি নাম না করে বিজেপিকেও আক্রমণ করেন মমতা। বলেন আমরা জানতে পেরেছি একটি রাজনৈতিক দল বিহার থেকে গুণ্ডা ভাড়া করে আনছে। আর কেন্দ্রীয় বাহিনী তাদের সাহায্য করছে।