জেএনইউ কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে হওয়া হামলার তদন্ত করছে, বলেন Dilip Ghosh (ফাইল চিত্র)
হাইলাইটস
- যেভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিংসার ঘটনা ঘটছে তার জন্যে দায়ী বামেরাই
- বাম ছাত্র সংগঠনগুলির হিংসাত্মক রাজনীতিকেই দায়ী করলেন দিলীপ ঘোষ
- জেএনইউয়ের ঘটনার যথাযথ তদন্ত হবে, আশ্বাস বিজেপি নেতার
কলকাতা: দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে যেভাবে গত রবিবার নৃশংস হামলা (JNU Violence) চালানো হয় তার জন্যে এবার ঘুরিয়ে বামেদেরই দায়ী করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে সহিংস ছাত্র আন্দোলন বামদেরই "উপহার", বলেন তিনি। যেভাবে একসময় বাম শাসন ক্ষমতায় থাকা রাজ্যগুলিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতিতে হিংসা ঢুকিয়েছিল বামপন্থীরা, এখন দিল্লিতে সেই সংস্কৃতিই ফিরিয়ে আনছে তাঁরা, এমন মন্তব্যও করতে শোনা যায় গেরুয়া দলের ওই নেতাকে (Dilip Ghosh)। রবিবার জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে লাঠি ও লোহার রড নিয়ে হামলা চালায় ৫০ জন মুখোশধারী, হামলা চালানো হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসেও। অভিযোগ ওই মুখোশধারীরা সেখানে প্রবেশ করে পড়ুয়াদের মারধর করে। ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষক মিলিয়ে কমপক্ষে ২০ জন আহত হন। এমনকি ওই মুখোশধারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ভাঙচুর চালায় এবং সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
"ছাত্র রাজনীতি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিংসাত্মক আন্দোলন তৈরি আসলে বাম ছাত্র সংগঠনগুলিরই উপহার। আপনি খেয়াল করলে দেখতে পাবেন যে কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গ, কেরল এবং ত্রিপুরা, যেখানে যেখানে কয়েক বছর আগে বামপন্থীরা ক্ষমতায় ছিলেন বা আছেন, সেই সেই রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতেই এমন সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে,", সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন দিলীপ ঘোষ। "এখন, বাম ছাত্র সংগঠনগুলি আবার সেই সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনছে",বলেন ওই বিজেপি নেতা।
অর্থনৈতিক তথ্য পর্যালোচনার সরকারি প্যানেল থেকে ইস্তফা জেএনইউয়ের অধ্যাপকের
তিনি আরও বলেন যে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ হামলার ঘটনার তদন্ত করছে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে এই ধরণের সহিংসতার ঘটনা আটকানো উচিত।
ইতিমধ্যেই জেএনইউয়ের হামলার ঘটনায় গর্জে উঠেছে সারা দেশ। দিল্লি তো বটেই, প্রতিবেশী রাজ্য মুম্বই থেকে শুরু করে কলকাতায় পর্যন্ত ছাত্ররা এই ধরণের ঘটনার প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন।
জেএনইউয়ে ছাত্রদের উপর বিজেপির ফ্যাসিস্ট সার্জিক্যাল স্ট্রাইক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে যেভাবে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উপর হামলা চালানো হয়েছে তার বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এই হামলাকে বিজেপির "ফ্যাসিবাদী সার্জিক্যাল স্ট্রাইক" বলে আখ্যা দেন তিনি। "দেশ জুড়ে যা ঘটছে তা খুবই উদ্বেগের... আমিও এক সময় ছাত্র রাজনীতিতে জড়িত ছিলাম, কিন্তু ছাত্র এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই ধরণের আক্রমণ আমি আগে কখনও দেখিনি ..., এটা গণতন্ত্রের উপর পরিকল্পিত আক্রমণ ছিল। ছাত্র সম্প্রদায়ের উপর এই আক্রমণ আসলে একটি ফ্যাসিবাদী সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ছিল", এ কথাই বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।