এনডিটিভি জানতে পেরেছে টাকা পাচারের কাজে যুক্ত ছিল এক ইঞ্জিনিয়ার।
নিউ দিল্লি:
ভিভিআইপিদের নিয়ে উড়ে যাওয়া চাটার্ড বিমানে কি টাকা নিয়ে যাওয়া হত? এমন ঘটনা ঘতে থাকতে পারে বলে সন্দেহ বিভিন্ন তদন্ত সংস্থার। তাই কয়েকটি সংস্থা একযোগে তদন্ত শুরুর করেছে। তবে এনডিটিভিকে গোয়েন্দারা জানিয়েছেন এখনও পর্যন্ত কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। গোটা ব্যাপারটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। গত মে মাসে সিবিআই উপেন্দ্র রাই নামে এক ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করে। অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের নথি জাল করার জন্যই গ্রেফতার হন এই প্রাক্তন সাংবাদিক ও ব্যবসায়ী। জানা গিয়েছে একটি এন্ট্রি পাস তৈরি করেছিল সে। সেটির সাহায্যে দেশের সমস্ত বিমান বন্দরের ভেতরে ঢুকতে পারত উপেন্দ্র। তার সঙ্গেই আরও কয়েকজন গ্রেফতার হয়। এদের জেরা করেই মিলেছে কিছু তথ্য। তদন্তকারীরা মোটের উপর নিশ্চিত এই ব্যক্তি টাকা পাচারের সঙ্গে যুক্ত। ইডি সূত্রে খবর, উপেন্দ্রর প্রায় 26 কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তার মধ্যে দিল্লির গ্রেটার কৈলাশ একটি ফ্ল্যাটও। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে কয়েকদিন আগে। কিন্তু এরই মধ্যে গোয়েন্দারা বুঝতে পেরেছেন যে নিরাপত্তার কড়াকড়ি তুলনায় কম হওয়ায় অপরাধীরা টাকা পাঠানোর জন্য ভিভিআইপিদের ব্যবহার করা বিমান বেছে নিয়েছে।
উপেন্দ্রকে সাহায্য করত কে? সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন? এনডিটিভি জানতে পেরেছে টাকা পাচারের কাজে যুক্ত ছিল এক ইঞ্জিনিয়ার। সে বিমানের মধ্যে অদৃশ্য গর্ত বানিয়ে দিত। আর তার মধ্যেই ঢুকে যেত টাকা ভরা বাক্ম।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে আপাতত নোটবন্দির পরে যত টাকা পাচার করা হয়েছে সেটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাছাড়া উপেন্দ্র রাইয়ের কাছে সমস্ত বিমান বন্দরে ঢোকার পাস এল কোথা থেকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে সেটাও।