Read in English
This Article is From Apr 14, 2020

লকডাউনে বন্ধ মন্দির, মিলছে না প্রসাদ, মন্দিরের ডাস্টবিনে খাবার খুঁজছে ভাল্লুকের দল!

লকডাউনের ফলে সমস্ত ধর্মীয় স্থান বন্ধ এবং কোনও জনসমাবেশও নিষিদ্ধ। ফলত ভাল্লুকগুলির খাবার নেই কোনও। কিছু খাবারের সন্ধানেই ডাস্টবিন খুঁজতে বাধ্য হচ্ছে ওরা।

Advertisement
অফবিট Edited by

ছত্তিশগড়ের মন্দিরে মাটিতে রাখা ডাস্টবিনে ধাক্কা মেরে খাবারের সন্ধান করছে ভাল্লুকটি

করোনাভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া আটকাতে ৩ মে অব্দি বাড়ান হল দেশব্যাপী লকডাউন। লকডাউনের জেরে বিপর্যস্ত জনজীবন। বিপর্যস্ত বন্যপ্রাণও। সপ্রতি একটি ভিডিওতে এমনই মন খারাপ করা দৃশ্য ধরা পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ছত্তিশগড়ের একটি মন্দিরে ডাস্টবিন হাতড়ে খাবার খুঁজছে একটি ক্ষুধার্ত শ্লথ ভাল্লুক, কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে রয়েছে অন্য একটি ভাল্লুক। ভাল্লুকের ফুটেজটি টুইটারে শেয়ার করেছিলেন মধ্যপ্রদেশের বন বিভাগের আধিকারিক অর্পিত মিশ্র। প্রায় দুই মিনিটের এই ভিডিওটি শেয়ার করে তিনি ব্যাখ্যা করেন যে, মন্দিরে আগত ভক্তরা তাদের যে খাবার বা প্রসাদ দেয় এরা তার উপরই নির্ভরশীল। লকডাউনের ফলে সমস্ত ধর্মীয় স্থান বন্ধ এবং কোনও জনসমাবেশও নিষিদ্ধ। ফলত ভাল্লুকগুলির খাবার নেই কোনও। কিছু খাবারের সন্ধানেই ডাস্টবিন খুঁজতে বাধ্য হচ্ছে ওরা।

ভিডিও ক্লিপটিতে দেখা যাচ্ছে, একটি ভালুক বারবার মাটিতে রাখা ডাস্টবিনে ধাক্কা মারছে, বোঝাই যাচ্ছে খাবারের সন্ধান করছে সে। মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্মে এই ভিডিও পোস্ট করার সময় অর্পিত মিশ্র লেখেন, “মন্দিরগুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, ভক্তদের দেওয়া খাবার এবং প্রসাদের উপর নির্ভরশীল শ্লথ ভাল্লুক এখন রেগে গিয়েছে, এবং মন্দিরের আশেপাশে ডাস্টবিনে খাবার সন্ধান করছে।”

 

“স্থানীয় কর্তৃপক্ষের উচিত তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা,” মন্তব্য বিভাগে লিখেছেন একজন টুইটার ব্যবহারকারী। এই পরামর্শকে সমর্থনও করেছেন অন্য এক ব্যক্তি।

Advertisement

স্থানীয়দের দেওয়া খাবারের উপরেই নির্ভরশীল থাকে অনেক প্রাণী। অত্যন্ত সংক্রামক করোনাভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া আটকাতে ২১ দিনের দেশব্যাপী লকডাউনে খাবার ও জল ছাড়াই দিন কাটাচ্ছে এই প্রাণীরা। কিছু দিন আগে, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদিয়ুরাপ্পা টুইটারে একটি আবেদন জানিয়েছিলেন, সাধারণ মানুষকে তাদের বাড়ির চারপাশে থাকা কুকুর, বিড়াল এবং পাখিদের খাওয়াতে অনুরোধ করেন তিনি।

Advertisement