हिंदी में पढ़ें Read in English
This Article is From May 28, 2020

করোনা যোদ্ধা হিসেবে লন্ডনের হাসপাতালকে ছাদনাতলা বানালেন চিকিৎসক-নার্স

এদিকে টুইটারে সেই ছবি পোস্ট হওয়ার পর ২০ হাজার লাইক পেয়েছে । অভিনন্দনের বন্যায় ভেসে গিয়েছেন নবদম্পতি।

Advertisement
অফবিট Edited by

লন্ডনের সেন্ট থমাস হাসপাতালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন এক চিকিৎসক ও নার্স।

কাজের সূত্রে পরিচয়। সেই পরিচয় থেকে প্রেম আর সেই প্রেম থেকে বিয়ে। এমন উদাহরণ ভুঁড়ি ভুঁড়ি। কিন্তু লন্ডনের সেন্ট থমাস হাসপাতালের (London Hospital) চিকিৎসক জনা টিপিং আর নার্স আন্নালান নবরত্নামের প্রেম অন্য কারণে খবরের শিরোনামে। করোনা যোদ্ধা (Covid-19 in UK) হিসেবে এখন হাসপাতালই ঘরবাড়ি চিকিৎসক-সহ স্বাস্থ্যকর্মীদের। কবে এই দায়িত্ব থেকে রেহাই মিলবে, জানে না কেউ। তাই প্রেমকে পরিণয়ে পরিণত করতে হাসপাতালকেই ছাদনাতলা বানালেন এই যুগল (Wedding in Hospital)। হাসপাতালের চ্যাপেল গির্জায় গত ২৪ এপ্রিল বিয়ে সারলেন টিপিং-আন্নালান। ভিডিও কলে আয়ারল্যান্ড আর শ্রীলঙ্কা থেকে সেই বিয়ের সাক্ষী রইলেন পাত্রী এবং পাত্র পক্ষ। বিবিসি সূত্রে এমনটাই খবর। জানা গিয়েছে, চলতি বছর অগাস্টে এই যুগলের বিয়ের নির্ঘণ্ট স্থির হয়েছিল। কিন্তু করোনা সঙ্ক্রমণ, লকডাউন -সহ আন্তর্জাতিক সফরে নিষেধাজ্ঞা গোটা আয়োজনে জল ঢালে। 

বিয়ের আয়োজন নিয়ে কনে ও বরের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। আদৌ শুভ মুহূর্তে আয়ারল্যান্ড আর শ্রীলঙ্কা থেকে তাঁদের স্বজনরা উপস্থিত হতে পারবেন কিনা! এই ভাবনা থেকেই অগাস্টের বিয়ে বাতিল করে এপ্রিল মাসে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন তাঁরা। যেহেতু করোনা যোদ্ধা হিসেবে ছুটি অমিল, তাই স্থির হয়েছিল হাসপাতালের চ্যাপেল গির্জায় চার হাত এক করা হবে। সেই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে এগিয়ে আসে হাসপাতাল। তারাই হাসপাতালের চ্যাপেল চার্চ থেকে অনুমতি জোগার করে বিয়ের সব আয়োজন সম্পন্ন করে। তারপরেই ২৪ এপ্রিল সম্পন্ন হয় বিয়ে। সেন্ট থমাস হাসপাতাল ২৬ মে সেই শুভ অনুষ্ঠানের ছবি টুইটারে পোস্ট করেন। 

এত প্রতিকুলতা পেরিয়ে অবশেষে বিয়ে সম্পন্ন হওয়াতে আশীর্বাদ করে কমেন্ট জানিয়েছেন অনেক নেটিজেন। 

Advertisement

দেখুন সেই ছবি: 

এদিকে টুইটারে সেই ছবি পোস্ট হওয়ার পর ২০ হাজার লাইক পেয়েছে সেই পোস্ট। অভিনন্দনের বন্যায় ভেসে গিয়েছেন নবদম্পতি। এত সঙ্কটের মধ্যে থেকেও এমন একটা শুভ কাজের সুষ্ঠ আয়োজন দেখেও উচ্ছ্বসিত নেটিজেনরা। 

Advertisement