১০০ মিলিসেকেন্ডেরও কম আক্রমণের সময়, র্যাটেলস্নেক দ্রুত, তবে ক্যাঙ্গারু ইঁদুরগুলি দ্রুততর
মরুভূমির খাঁ খাঁ অন্ধকারে নিজের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছিল ক্যাঙ্গারু ইঁদুরটি (wide-eyed kangaroo rat)। বড় বড় চোখ, লাফ মারতে পারদর্শী এই ইঁদুর একা নয়, অ্যারিজোনা মরু অন্ধকারে ইঁদুরের এক ইঞ্চি দূরেই শিকার ধরার অপেক্ষায় বসেছিল মারাত্মক বিষাক্ত র্যাটেলস্নেক (sidewinder rattlesnake)। সাপেদের কথা যারা জানেন অথবা জানেন না, তাঁরা এটুকু জানেন কী ভয়ানক ক্ষিপ্র আর বিষআক্ত হয় এই র্যাটেল স্নেক! বজ্রপাতের চেয়েও দ্রুত আক্রমণে র্যাটেল স্নেকের হামলা মানে শিকারের অবশ্যম্ভাবী মৃত্যু। কিন্তু এক সেকেন্ডেরও কম সময়ে, সাপের হামলার মুখে পড়েও, কার্যত সাপের মুখে মরুভূমির বালি ছড়িয়ে প্রাণে বেঁচে গেল এই ইঁদুরটি! পুরোটাই ধরা পড়েছে ভিডিওতে।
আজব চুরি! প্যান্টের মধ্যে ৪ ফুটের অজগর ঢুকিয়ে চুরি করে পালাল চোর
রিভারসাইড এবং ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও সান দিয়েগো স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষক দলের একটি গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে যে, এই ইঁদুরের প্রাণে বেঁচে ফেরার ঘটনাটি কেবলমাত্র ভাগ্য নয়। পশ্চিম উত্তর আমেরিকায় সাধারণত মরুভূমিতে বসবাসকারী এমন অনেক প্রাণিই বিজ্ঞানীদের তাজ্জব করে দেওয়ার মতো ‘নিনজা টেকনিক' জানে। গ্রেস ফ্রেইমিলার এবং মাল্যাচি হুইটফোর্ড, সান ডিয়েগো স্টেট ইউনিভার্সিটির পিএইচডি গবেষকরা জানাচ্ছেন, “সাপ এবং ইঁদুরের মধ্যে প্রতিটি যুদ্ধই সর্বাধিক প্রায় ৭০০ মিলিসেকেন্ড বা ০.৭ সেকেন্ড স্থায়ী হয়।”
হাই স্পিড ক্যামেরা ব্যবহার করে, ফ্রেইমিলার এবং হুইটফোর্ড গবেষকদের একটি দলকে ইউমা, অ্যারিজোনার বাইরে মরুভূমিতে এই ধরণের কাজে নেতৃত্ব দেন। যখন তাঁরা নিজেরা এই ফুটেজ পর্যালোচনা করেন, তারা কেউই বিশ্বাস করতে পারেননি। ওই ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ওই ক্যাঙ্গারু ইঁদুরটি স্পষ্টতই হাওয়াতে লাফ মারার আগে র্যাটেলস্নেকের মাথায় দু'পায়ে লাথি মেরেছে। গবেষকরা ইউটিউব চ্যানেলে ‘নিনজা র্যাট' নামে এই ভিডিওটি আপলোডও করেছেন।
ঘিঞ্জি বহুতলে নেই ফায়ার এক্সিট, ঢাকায় ২২ তলা ভবনে জ্যান্ত পুড়ে মরলেন ২৫
১০০ মিলিসেকেন্ডেরও কম আক্রমণের সময়, র্যাটেলস্নেক দ্রুত, তবে ক্যাঙ্গারু ইঁদুরগুলি দ্রুততর। হুইটফোর্ড বলেন, “মূলত চোখের এক পলক ফেলার আগেই ঘটে যাওয়ার ঘটনার মতো! চোখের পাতা একবার ফেলতে মানুষের প্রায় ১৫০ মিলিসেকেন্ড সময় লাগে।”
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)