Read in English
This Article is From May 25, 2020

ছাদের কার্নিশে চুমু খাওয়ার ছবি ভাইরাল! ইসলামিক রীতি বিরুদ্ধ কাজের জন্য গ্রেফতার ইরানের অ্যাথলিট

ইসলামিক পোশাক বিধির অধীনে মহিলারা কেবল প্রকাশ্যে তাদের মুখ, হাত ও পা প্রদর্শন করতে পারেন এবং কেবলমাত্র পরিমিত রঙের পোশাক পরার কথাও রয়েছে বিধিতে।

Advertisement
অফবিট Edited by

ছাদের কার্নিশে চুমু খাওয়ার ছবি পোস্ট করে গ্রেফতার জাপালাগি

ইসলামিক রীতির তোয়াক্কা না করে ছাদে প্রকাশ্যে চুম্বন করায় ইরানের দুই পার্কুর অ্যাথলিটকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত সপ্তাহে ছাদে চুম্বনরত যুগলের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত হওয়ার পরে জনপ্রিয় পার্কুর অ্যাথলিট আলিরিজা জাপালাগি এবং তার স্টান্ট সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিবিসির সূত্র অনুযায়ী, তেহরান পুলিশ জানিয়েছে যে তাঁদের, “রীতিবিরুদ্ধ আচরণগুলি, নিয়ম ও শরিয়া আইন বিরোধী” ছিল বলেই তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা আইএসএনএ জানিয়েছে, রাজধানীর পুলিশ প্রধান হোসেইন রহিমি বলেছেন, “এই ব্যক্তিকে তেহরানের সাইবার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।"

গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির নাম উল্লেখ না করে রহিমি আরও বলেন, “আমরা এই ব্যক্তি এবং তাঁর সহযোগীর বিধিভঙ্গ ও অশ্লীল আচরণের বিরুদ্ধে এবং পুলিশ ও বিচার বিভাগ অবশ্যই তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।"

গত সোমবার জপালাগিকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর ছবিগুলিতে তাঁর সঙ্গিনীকে বৃহস্পতিবার হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

“একটি অল্পবয়সী ছেলে এবং মেয়ের অনুচিত এবং অযৌক্তিক আচরণের চিত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছিল। এই ব্যক্তিদের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নির্দেশে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে, কারণ তারা যা করেছে তা ‘ভুল আচরণের নমুনা' ছিল,” পুলিশ বিবৃতিতে জানিয়েছে বলেই তাসনিম নিউজ এজেন্সির খবর।

Advertisement

সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁদের এই আটক করার বিষয়টির ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে। অনেকেই অ্যাক্রোব্যাটিক স্ট্যান্টের জন্য ইরানে বিখ্যাত এই পার্কৌর অ্যাথলিটের সমর্থনে বক্তব্য রেখেছেন।

জপালাগি গত সপ্তাহে বেশ কয়েকটি ফটো এবং ভিডিও পোস্ট করেছিলেন যাতে তাঁকে এবং অজ্ঞাত এক মহিলাকে ছাদের কার্নিশে উঠে চুম্বন করতে দেখা যায়।

ইসলামিক পোশাক বিধির অধীনে মহিলারা কেবল প্রকাশ্যে তাদের মুখ, হাত ও পা প্রদর্শন করতে পারেন এবং কেবলমাত্র পরিমিত রঙের পোশাক পরার কথাও রয়েছে বিধিতে।

Advertisement

সোমবার একটি ইনস্টাগ্রাম ভিডিওতে তিনি বলেছিলেন যে তিনি “সন্দেহজনক ফোন” পেয়েছিলেন যাতে তাকে নিজে এসে ধরা দিতে বা প্রকাশ্যে গ্রেপ্তার করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছিল।

তার ভাই পরের দিন একই অ্যাকাউন্টে একটি আপডেট পোস্ট করে জানান যে আলিরেজাকে তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

Advertisement