Read in English
This Article is From Oct 30, 2019

বন্ধুকে বাঁচাতে প্রকাণ্ড কুমিরের সঙ্গে কুস্তি লড়ে চোখ উপড়ে নিল স্কুলছাত্রী!

বন্ধুদের সঙ্গে সাঁতার কাটছিল বছর নয়ের কিশোরী লাটোয়া মুওয়ানি। হঠাৎই জলের মধ্যে থেকে উঠে এসে লাটোয়ার পা ধরে তাঁকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল প্রকাণ্ড এক কুমির!

Advertisement
ওয়ার্ল্ড Edited by

বন্ধু লাটোয়ার আর্তচিৎকার শুনেই আর কালবিলম্ব না করেই তার বন্ধু রেবেকা মুনকোম্বও (প্রতীকী)

হারারে :

বন্ধুদের সঙ্গে সাঁতার কাটছিল বছর নয়ের কিশোরী লাটোয়া মুওয়ানি (Latoya Muwani)। হঠাৎই জলের মধ্যে থেকে উঠে এসে লাটোয়ার পা ধরে তাঁকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল প্রকাণ্ড এক কুমির! এই দৃশ্য দেখেই বন্ধুর উদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়ে কুমিরের সঙ্গে কুস্তি করে তার চোখ উপড়ে নিল জিম্বাবুয়ের আরেক স্কুল ছাত্রী (schoolgirl in Zimbabwe) রেবেকা! বন্ধুকে সরীসৃপের আঁকড়ে ধরা থেকে বাঁচাতে কুমিরের গায়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে বিশাল কুমিরের (large crocodile) সঙ্গে কুস্তি লড়ে চোখ উপড়ে নেওয়ার এই ঘটনাটি ঘটেছে জিম্বাবুয়ে সিন্ডেরেলা গ্রামে (Sinderela village)। বন্ধুদের সঙ্গে সাঁতার কাটার সময়ই কুমিরের হামলায় আক্রান্ত হয় লাটোয়া মুওয়ানী নামে ওই কিশোরী।

আরও পড়ুনঃ জানেন, কেন অন্ধ ডানাহীন পোকার নাম রাখা হল জলবায়ুকর্মী কিশোরী গ্রেটা থুনবার্গের নামে!

হাতে পায়ে জড়িয়ে ধরে প্রকাণ্ড কুমিরটি লাটোয়াকে টেনে নিয়ে যেতে থাকে। সেই সময় বন্ধু লাটোয়ার আর্তচিৎকার শুনেই আর কালবিলম্ব না করেই তার বন্ধু রেবেকা মুনকোম্বও (Rebecca Munkombwe) কুমিরের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

Advertisement

“যারা যারা সাঁতার কাটছিল সেই সব বাচ্চাদের মধ্যে আমিই সবার চেয়ে বড় ছিলাম। সুতরাং, আমি ওকে বাঁচানোর তাগিদ অনুভব করি,” বলে রেবেকা।

আরও পড়ুনঃ দাড়িতে অকাল বসন্ত! বাংলাদেশে হু হু করে বাড়ছে গেরুয়া দাড়ির জনপ্রিয়তা; কিন্তু কেন?

Advertisement

স্থানীয় সূত্রের খবর, কুমিরটি লাটোয়াকে তার হাত ও পায়ে ধরে আটকে নেয়। এই বিষয়টি লক্ষ্য করার পরেই, রেবেকা কুমিরের সঙ্গে কুস্তি করতে শুরু করে এবং যতক্ষণ না লাটোয়াকে কুমিরটি ছেড়ে দেয় ততক্ষণ রেবেকা কুমিরটির চোখের উপর কোপাতে থাকে।

রেবেকা বলে, “লাটোয়াকে কুমিরটা একবার ছেড়ে দিলে আমি ওর সঙ্গে সাঁতার কেটে পাড়ে এসে উঠি। কুমিরটা আর আমাদের আক্রমণ করেনি।”

Advertisement

রেবেকা আহত হয়নি তবে তাঁর বন্ধুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল চিকিৎসার জন্য।

ওই হাসপাতালেরই একজন নার্স স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে লাটোয়ায় শরীরে হালকা আঘাত রয়েছে।

Advertisement

লাটোয়ার বাবা ফরচুন মুওয়ানি বলেন, “আমি ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ। লাটোয়া ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে... এবং আমরা আশা করি শিগগিরই ওকে ছেড়ে দেওয়া হবে।"

Advertisement