পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সাপের তালিকায় তিন নম্বরে রয়েছে ‘কোস্টাল তাইপান' (Coastal Taipan snake)। এই সাপের বিষ এমন তীব্র যে, কাউকে ছোবল মারলে তার স্নায়ুতন্ত্র বিকল হওয়ার পাশাপাশি রক্তের জমাট বাঁধার ক্ষমতা চলে যায়। শুরু হয় মাথাব্যথা, শ্বাসকষ্ট। দেখা দেয় পক্ষাঘাত। শরীরের ভিতরে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। নষ্ট হয়ে যায় কিডনিও। এমনই ভয়ঙ্কর এক সাপকে দিব্যি গিলে খেয়ে ফেলল অস্ট্রেলিয়ার এক সবুজ ‘ট্রি ফ্রগ' (Tree Frog)! মঙ্গলবার এই খবর সকলের সঙ্গে শেয়ার করেছেন জ্যামি চ্যাপেল। ‘স্নেক টে অ্যাওয়ে' এবং ‘চ্যাপেল পেস্ট কন্ট্রোল'-এর মালিক কুইন্সল্যান্ডের এই ভদ্রলোককে ফোন করেছিলেন এক মহিলা। জানিয়েছিলেন তাঁর বাড়ির পিছনে দেখা গিয়েছে ওই বিষধর মৃত্যুদূতকে।
Daily Mail-কে চ্যাপেল সাহেব জানিয়েছেন, তিনি সেই বাড়ির দিকে যাওয়ার সময়ই আবারও ফোন করেন ভদ্রমহিলা। জানিয়ে দেন, একটি ব্যাঙ সাপটিকে খেয়ে ফেলেছে।
বাঘে-কুকুরে একসঙ্গে! ল্যাব্রাডরের 'ভালো বন্ধু' চিতা?
তিনি বলেন, ‘‘আমি সেখানে পৌঁছতে পৌঁছতেই ব্যাঙটি সাপটিকে গিলে ফেলে। তাকে কয়েক বার ছোবল মারলেও সে সফল হয় সাপটিকে প্রায় গলাঃধকরণ করে ফেলতে।'' ফেসবুকে সেই সাপের ছবি শেয়ার করার পরে তা ভাইরাল হয়ে যায়। দু'দিনের মধ্যে বহু নেটিজেন সেটিকে শেয়ার করে ফেলেন।
Viral Video: গোসাপ বনাম চিতাবাঘ, লড়াইয়ে জিতল কে?
জ্যামি চ্যাপেল জানাচ্ছেন, তিনি সাপটিকে বাঁচাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে পৌঁছনোর আগেই সাপটিকে খেয়ে ফেলে ব্যাঙটি।
কিন্তু এমন ভয়ানক সাপকে খেয়ে কি ব্যাঙটি হজম করতে পেরেছিল? চ্যাপেল জানাচ্ছেন, ‘‘আমি নিশ্চিত ছিলাম না ব্যাঙটা বাঁচবে কিনা। কিন্তু আমি চাইনি ও এটাকে উগরে দিক। তাই আমি ওই মহিলার বাড়ির পিছনে যাই এবং সেটিকে সঙ্গে করে নিয়ে আসি।''
চ্যাপেল অবশ্য ভাবতে পারেননি ব্যাঙটি বেঁচে যাবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সাপটিকে উদরস্থ করেও ব্যাঙটি কিন্তু রয়েছে বহাল তবিয়তেই! চ্যাপেল জানিয়েছেন, আরও কিছু সময় পর্যবেক্ষণে রেখে পরে ব্যাঙটিকে ছেড়ে দেওয়া হবে।