বাবা-মা স্নান করছেন আর সেই সুযোগে তাঁদের ছোট্ট বাচ্চাটি যা করলো তা দেখে নেট দুনিয়ায় প্রায় সকলেরই আত্মরাম খাঁচাছাড়া হওয়ার জোগাড়। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে (Viral Video) দেখা যায় বিপজ্জনকভাবে বহুতলের ৫ তলার কার্নিশ দিয়ে কখনো হেঁটে আবার কখনো প্রায় দৌড়ে যাচ্ছে (Child Runs on Ledge) একটি ছোট্ট শিশু, যে কোনও মুহূর্তে একচুল এদিক-ওদিক হলেই সে পড়ে যাবে একেবারে নিচে, আর তারপরে... ভাবলেই শিউরে উঠছেন সবাই। ঘটনাটি ঘটেছে স্পেনের (Spain) টেনেরিফ (Tenerife) শহরে, আর উত্তেজনায় টানটান ভিডিওটির সম্বন্ধে খবর দিয়েছে স্কাই নিউজ। ওই ভিডিও ক্লিপটিতে দেখা যাচ্ছে, শিশুটি প্রথমে একটি জানলার ধার ঘেঁষে কার্নিশ ধরে হেঁটে বারান্দার দিকে এলো, তারপর সেখানে কিছুটা থমকে গিয়ে আবার ঘুরে প্রায় দৌড়ে ফিরে গেল সেই জানলার কাছেই। এই ভিডিওটি দেখলে আপনার হৃদয়ের ধুকপুকুনি বাড়তে বাধ্য।
Safe Ride র পাঠ শেখালো সারমেয় ! দেখুন ভিডিও
ভিডিওটি 'আই লাভ টেনেরিফ' নামের একটি ফেসবুক পেজে শেয়ার করা হয়েছিল, যেখানে সেটির এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩.৪ মিলিয়ন ভিউ হয়েছে এবং ২৫,০০০ এরও বেশি মানুষ নানা ধরণের আশ্চর্য মন্তব্য করেছেন। "এই শিশুটি যখন এই বহুতলের জানলা বেয়ে আসে তখন ওর বাবা মা স্নান করছিলেন", ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা হয় এই কথা।
"হা ঈশ্বর, ও ছুটে চলেছে এবং ওই পা টলমল করছে এবং অথচ ও পড়ে যায়নি!" , ভিডিওটির কমেন্ট সেকশনে গিয়ে আতঙ্কে এই মন্তব্য করেন এক ব্যক্তি। এই ভিডিও দেখে আরেক জন লিখেছেন, "এই দৃশ্য দেখে আমার পাকস্থলী পর্যন্ত ভয়ে বেরিয়ে আসতে চাইছিল"। অনেকেই আবার এইভাবে শিশুটিকে ছেড়ে রাখায় মা-বাবার সমালোচনাও করেছেন।
ওই ফেসবুক পেজ অনুসারে, ভিডিওটি তুলেছেন ওই বহুতলেরই বিপরীতে অবস্থিত আরেকটি বহুতলে থাকা একজন পর্যটকের মেয়ে। ফেসবুক পেজটিতে লেখা হয়, "ভিডিওটি তুলেছেন একজন পর্যটকের মেয়ে যিনি ওই বহুতলের কাছাকাছি একটি অ্যাপার্টমেন্টে ছিলেন। তাঁর মেয়ে যখন ভিডিওটি তুলছিলেন তখন তিনি দৌড়ে ওই বহুতলে কারুর নজর টানার চেষ্টা করেন"।
চোখের পলকেই ছাড়ান ডিমের খোসা, অসংখ্য মানুষ ভিডিওতে দেখলেন সেই পদ্ধতি!
মেট্রো নিউজ জানিয়েছে যে ওই শিশুটিও তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে ফিনল্যান্ড থেকে সেখানে ছুটি কাটাতে এসেছিল। তাঁরা নিজেদের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছিলেন। এই ঘটনার খবর পাওয়ার পর পুলিশ বর্তমানে ওই শিশুটির বাবা-মায়ের সন্ধান করছে। যদিও তাঁরা এখনও স্পেনেই আছেন নাকি দেশে ফিরে গেছেন তা এখনও জানা যায়নি।