এই বিয়ে এখন মধ্যপ্রদেশ জুড়ে চর্চার বিষয়।
ভোপাল: পতি, পত্নী অউর ও। এই বিষয়ে বলিউডে একাধিক ছবি হয়েছে। স্বামী, স্ত্রী এবং স্বামীর প্রেমিকা, বড়পর্দার এই চর্চিত বিষয় বাস্তবেও দাগ কেটেছে। গত জুনে মধ্যপ্রদেশের বেতুল গ্রামের এই বিয়ে পতি, পত্নী অউর ও-এর চিত্রনাট্যকে উসকে দিয়েছে। জানা গিয়েছে, ২৯ জুন রীতিমতো মণ্ডপ বানিয়ে ছাদনাতলায় দুই কনের গলায় বরমাল্য পরান সাদিয়া গ্রামের যুবক সন্দীপ (Viral MP marriage)। তবে, লুকিয়ে নয়, বরং শতাধিক আমন্ত্রিতের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয়েছে এই বিয়ে (A groom and two bride)। স্থানীয় পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, বাল্যকালের প্রেমিক সুনন্দা আর বাবা-মায়ের পছন্দ করা শশীকলা, দুজনের সঙ্গে একমণ্ডপে সাত পাকে বাঁধা পড়েন সন্দীপ। এই যুবকের পরিবার সূত্রে খবর, সন্দীপ ভোপালে আইটিআই পড়ার সময় তাঁর সঙ্গে সুনন্দার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এদিকে, পরিবারের লোকজন কয়লারি গ্রামের শশীকলার সঙ্গে বিয়ে ঠিক করেন সন্দীপের। প্রাথমিক ভাবে এই ত্রিকোণ সম্পর্ক ঘিরে বিবাদ তৈরি হয় তিন পরিবারে। কিন্তু তিন গ্রামের পঞ্চায়েত ও প্রবীণদের উপস্থিতিতে দু'জনকেই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সন্দীপ। এমনটাই স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর।
স্থানীয়স্তরে এই বিয়ে ঘিরে বিবাদ হলেও পঞ্চায়েতের উপস্থিতিতে বিষয়টা মিটমাট করা হয়েছে। পাত্রের মা সোনা বাইয়ের দাবি, "তিন পরিবার বসে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মতপার্থক্যের জায়গা নেই।" সন্দীপের অপর এক স্ত্রী সুনন্দা বলেন, "সেই স্কুলের সময় থেকে দু'জনের প্রেম।"
এক বধূ শশীকলা বলেন, "আমি এই বিয়েতে খুশী। একসঙ্গে থাকবো। সন্দীপ বলেছে আমাদের সমানাধিকার দেবে এবং ভরনপোষণের দায়িত্ব নেবে।"
কেরিয়া গ্রামের বাসিন্দারা বলেছেন, "তিনটি পরিবার একসঙ্গে বসে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেখানে গ্রামের কী বলার থাকতে পারে।" তবে এই বিয়ের ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় ফাঁঁপড়ে প্রশাসন।
ঘোড়াডঙরির জেলাশাসক মনিকা বিশ্বকর্মা বলেছেন, "এক তরুণের দুই তরুণীকে বিয়ের খবর কানে এসেছে। পুলিশকে বিষয়টা খতিয়ে দেখতে বলেছি। স্থানীয় পঞ্চায়েত গিয়ে ওই পরিবারের সঙ্গে কথাও বলেছে।"
(আকিল আহমেদের সংবাদ সূত্র)
Click for more
trending news