অস্মিতা ঘোষ এই ছবিটিই টুইটারে শেয়ার করেছেন
কলকাতা: দিন কয়েক আগেই, কনকাঞ্জলি দিতে অস্বীকার করে ‘অন্য বিয়ে'র নজির স্থাপন করেছিলেন প্রিয়া মান্না। ফের বিয়ের নানা প্রথাকে যুক্তি দিয়ে ভেবে তা মানতে অস্বীকার করার নজির উঠে এল। টুইটারে ভাইরাল হওয়া একটি পোস্টে দেখা যাচ্ছে মহিলা পুরোহিতরা বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পাদনা করছেন। এই বিয়েতেই মেয়ের বাবা বিয়ের অন্যতম বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রথা কন্যা দান বা কন্যা সম্প্রদানের প্রথাটিকেই চ্যালেঞ্জ করেছেন। অযৌক্তিক এই রীতি পালনে নারাজ তিনি। তাঁর কথায়, “মেয়ে সম্পত্তি নয় যে দান করব!” টুইটারে অস্মিতা ঘোষের শেয়ার করা পোস্টটি বেশ ভাইরাল ইতিমধ্যেই।
কনকাঞ্জলি দিয়ে ‘বাবা মায়ের ঋণ' শোধের প্রথা ভেঙে নজির গড়লেন হুগলির প্রিয়া মান্না
কলকাতার মহিলা পুরোহিত নন্দিনী ভৌমিক এই বিয়ের অনুষ্ঠানে পৌরহিত্য করেন। অস্মিতা ওই পোস্টে লিখেছেন, “আমি মহিলা পুরোহিতদের একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে রয়েছি। মেয়ের বাবার বক্তব্য যে তিনি কন্যাদান করবেন না মেয়েরা সম্পত্তি নয় যে দান করতে হবে।”।
হিন্দু বিয়ের রীতিতে কন্যাদান এমন একটি প্রথা যাতে মেয়েকে পাত্রের হাতে সম্প্রদান করেন মেয়ের বাবা।
ভাইরাল এই পোস্টটি স্বাভাবিকভাবেই মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবং বলা বাহুল্য বিয়ের নানা অদ্ভুত রীতিকে প্রশ্ন করার আরেকটি দরজাও খুলে দিয়েছে। অনেকেই এই বিয়েকে ‘প্রগতিশীল' এবং ‘যুক্তিভিত্তিক' বলে মনে করছেন।
বিয়েতে এমন নানা প্রথাই আছে যা মানুষ বিনা বাক্যে মেনে নেন। হাজারো শিক্ষার পরেও অযৌক্তিক প্রথাগুলোকে প্রশ্ন করেন না কেউই। এই উদাহরণটি আবারও বিবাহ কেন্দ্রিক নানা নিয়মকানুনের অর্থ অথবা অন্তঃসার শূন্যতার দিকেই আঙুল তুলেছে। সম্প্রতিই, বাঙালি কন্যা প্রিয়া মান্না কনকাঞ্জলি প্রথা মানতে অস্বীকার করেন। মায়ের দিকে এক মুঠো চাল ছুঁড়ে ‘তোমার সব ঋণ শোধ করলাম' বলার মধ্যে কোনও যুক্তিই খুঁজে পাননি তিনি। বিয়ের সময়ের তাঁর ভিডিওটি বেশ ভাইরাল হয়ে পড়েছে।
চপ্পলেই নিজস্বীর সুখ? মন ভালো করা এই ছবিই এখন ইন্টারনেটে ভাইরাল
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতেও সোশ্যাল মিডিয়ার চমকপ্রদ একটি সুন্দর ছবি ভাইরাল হয়, একজন সিঙ্গল মাদার হিসেবে মেয়ের বিয়ে সম্পন্ন করেন একজন মহিলা।