করোনার (COVID-19) সংক্রমণ এড়াতে রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কিন্তু আগামিকাল (৭ এপ্রিল) থেকেই বই-খাতা নিয়ে টিভির সামনে বসে পড়তে হবে রাজ্যের (West Bangal) পড়ুয়াদের। কারণ ওই দিন থেকেই কলকাতার একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল এবিপি আনন্দে বেলা ৩টে থেকে বিকেল ৪ টে পর্যন্ত হবে ভার্চুয়াল ক্লাস (Virtual Classes)। টিভির পর্দাতেই নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়য়াদের রাজ্যের সরকারি বিদ্যালয়গুলোর সিলেবাস অনুযায়ী পড়াবেন নামী শিক্ষকরা। আপাতত ৭ থেকে ১৩ এপ্রিল, এই এক সপ্তাহের জন্যে ভার্চুয়াল ক্লাস করানো হবে। করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণ এড়াতে চলতি লকডাউন পর্ব মিটলে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। রাজ্যের শিক্ষা দফতরের নির্দেশিকা অনুযায়ীই ওই আয়োজন। ওই দফতরেরই এক উর্ধ্বতন আধিকারিক এই প্রসঙ্গে সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, "টিভি চ্যানেলের একটি স্টুডিওকে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের মতো করে সাজানো হবে। বাড়ি বসেই পড়ুয়ারা হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফোন কলের মাধ্যমে ওই ভার্চুয়াল ক্লাসের শিক্ষকদের কাছে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে পারবে, প্রতিদিন ক্লাস শুরুর আগেই নির্দিষ্ট নম্বরটি বলে দেওয়া হবে"।
রাজ্য সরকার এর আগে ডিডি বাংলায় ৭ এপ্রিল বিকেল ৪টে থেকে ৫ টা পর্যন্ত ওই ভার্চুয়াল ক্লাস করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু রাজ্যের বহু পড়ুয়া ও শিক্ষকরাই ওই সময়টায় ক্লাস হওয়া নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন। শিক্ষার্থীরা ও শিক্ষকদের একটি অংশ সময় নির্ধারণের বিষয়ে আপত্তি তুলেছিল এবং ওই চ্যানেলেই এটিকে অন্য একটি স্লটে স্থানান্তরিত করার কথা বলেছিলেন। কিন্তু সেই স্লট না মেলায় ডিডি বাংলা থেকে ওই বেসরকারি চ্যানেলে ভার্চুয়াল ক্লাস করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এবার মানুষের পাশাপাশি বাঘিনীর দেহেও মিলল করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি!
"১৬ মার্চ থেকে রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পড়াশুনো শিকেয় উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে যাতে ভবিষ্যতে বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন না হয় রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরা তার জন্যেই ওই ভার্চুয়াল ক্লাস করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক সিদ্ধান্তের পরে এই বিষয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা দেখা দিলেও, এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে", জানিয়েছেন শিক্ষা দফতরের ওই আধিকারিক।