Coronavirus: দেশের করোনা সংক্রমণ রুখতে খুব তাড়াতাড়ি ভ্যাকসিন তৈরি করা প্রয়োজন, বললেন নীতিন গড়কড়ি
হাইলাইটস
- করোনা পরিস্থিতির সঙ্গে যুঝতে মানসিকভাবে শক্তিশালী হওয়ার দাওয়াই
- নীতিন গডকড়ির মতে, করোনাকে সঙ্গে নিয়েই ধীরে ধীরে জীবনের পথে ফিরতে হবে
- করোনা ভাইরাসকে রুখতে ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা চলছে, জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
নয়া দিল্লি: করোনা ভাইরাস (Coronavirus) নিয়ে যে জল্পনাটি চলছিল সেটিকেই আরও উস্কে দিয়ে এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গডকড়ির (Nitin Gadkari) মুখে শোনা গেল সেই কথা, "করোনা ভাইরাস প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি হয়নি, এটিকে পরীক্ষাগারে বসে তৈরি করা হয়েছে"। কোভিড- ১৯ এর সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তকে আটকাতে ২৫ মার্চ থেকে টানা লকডাউনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে দেশ। সমস্ত কলকারখানা, শিল্প প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়িক আদান-প্রদান বন্ধ থাকায় একরকম তলানিতে ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থান। এই দুরবস্থা থেকে বাঁচতে মঙ্গলবারই ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক সাহায্য দেওয়ার ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। বুধবারই সাংবাদিক সম্মেলন করে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman) জানান যে কীভাবে ওই টাকা থেকে সাহায্য পাবেন দেশের মানুষ। অর্থমন্ত্রীর ওই সাংবাদিক সম্মেলনের পরেই বিষয়টি নিয়ে সাধুবাদ জানান নীতিন গডকড়ি। NDTV-কে এক এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "আমাদের করোনাকে সঙ্গে নিয়েই বেঁচে থাকার অভ্যাস করতে হবে। এটা কোনও প্রাকৃতিক ভাইরাস নয়, এটা পুরোপুরি কৃত্রিম ভাইরাস। এখন বিশ্বের অনেক দেশই একে আটকাতে ভ্যাকসিন তৈরির জন্য গবেষণা করছে, কিন্তু এখনও সেই ভ্যাকসিনটি পাওয়া যায় নি। যত দ্রুত ভ্যাকসিনটি তৈরি হবে, তত তাড়াতাড়ি একে দমানো যাবে"।
‘‘দরিদ্র, পরিযায়ীদের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছি আমরা'': নির্মলা সীতারামনের সেরা উদ্ধৃতিগুলি
"দ্বিতীয় সমস্যাটি হল সনাক্তকরণের পদ্ধতি। এর জন্য আমাদের কিছু ভাল পদ্ধতির প্রয়োজন যাতে আমরা এই ভাইরাসটি আক্রমণ করার সঙ্গে সঙ্গেই সেটিকে সনাক্ত করতে পারি। এই ভাইরাসটি আসলে সকলের কাছেই অপ্রত্যাশিত কারণ এটি পরীক্ষাগার থেকে তৈরি হয়েছে, এটি প্রাকৃতিক ভাইরাস নয়। তবে এখন বিশ্বও অনেক প্রস্তুত, ভারতও এখন প্রস্তুত, বিজ্ঞানীরাও প্রস্তুত আছেন। এই ভাইরাসকে কীভাবে খতম করা যাবে তার উপায় খুঁজে পেলেই সমস্যার সমাধান হবে, আর আমরা এটা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই সন্ধান করে চলেছি। একটি ভ্যাকসিন তৈরি হয়ে গেলেই আর কোনও সমস্যা হবে না", অনেকটাই আশ্বাসের সুরে একথা বলেন নীতিন গডকড়ি।
৬ জন পরিযায়ী শ্রমিককে পিষে দিল সরকারি বাস, আহত ২, জানাল পুলিশ
অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ এবং সড়ক পরিবহণের দায়িত্বে থাকা নীতিন গডকড়ি আরও বলেন যে, দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আটকাতে যে লকডাউন জারি করা হয়েছে তার ফলে আটকে পড়েন অসংখ্য পরিযায়ী শ্রমিক। রীতিমতো ভয় পেয়েই তাঁরা নিজেদের কাজের জায়গা ছেড়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। তিনি এও আশা প্রকাশ করেছেন যে ব্যবসা-বাণিজ্য সহ অর্থনৈতিক কাজকর্ম আবার চালু হলে তারা ফের নিজের নিজের কর্মস্থলে ফিরে আসবেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মতে, "আমাদের করোনা ভাইরাসকে সঙ্গে নিয়েই এই বেঁচে থাকার লড়াই করা দরকার, কারণ আমরা একটি অর্থনৈতিক যুদ্ধও করছি। আমরা একটি দরিদ্র দেশ এবং এভাবে মাসের পর মাস লকডাউন বাড়াতে পারি না আমরা" ।