This Article is From Feb 20, 2019

জালিয়াতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য দিলীপ কুমার সিনহা, রেজিস্ট্রার দিলীপ মুখোপাধ্যায় এবং গণিতের অধ্যাপক মুক্তি দেবকে বুধবার জালিয়াতি ও ষড়যন্ত্রের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করল বোলপুর আদালত।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। 

বোলপুর:

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য দিলীপ কুমার সিনহা, রেজিস্ট্রার দিলীপ মুখোপাধ্যায় এবং গণিতের অধ্যাপক মুক্তি দেবকে বুধবার জালিয়াতি ও ষড়যন্ত্রের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করল বোলপুর আদালত। বৃহস্পতিবার সাজা ঘোষণা হবে তাঁদের। সম্ভবত, এই প্রথমবার, কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্যকে জালিয়াতির মামলায় শাস্তি ভোগ করতে হবে। তাঁদের অপরাধটি প্রথম প্রকাশ্যে আসে ২০০৪ সালে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল পুরস্কারটি চুরি হওয়ার পর। ততদিনে দিলীপ সিনহা অবসর গ্রহণ করে ফেলেছেন। নোবেল চুরির তদন্তে নামে সিআইডি। গণিতের অধ্যাপক হিসাবে বিশ্বভারতীতে ততদিনে প্রায় ছ'বছর ছাত্র-ছাত্রীদের পড়িয়ে ফেলেছিলেন মুক্তি দেব। কিন্তু, পড়ানোর জন্য যে যথাযথ যোগ্যাতার প্রয়োজন, সেই শিক্ষাগত যোগ্যতা তাঁর ছিল না। সিআইডির তদন্তকারী অফিসার নবকুমার ঘোষ বলেন, তদন্ত করতে গিয়ে আমরা জানতে পারি, তিনি জাল মার্কশিট ও সার্টিফিকেট পেশ করে উচ্চমাধ্যমিক পাশ হওয়া সত্ত্বেও স্নাতকোত্তরের পড়ুয়াদের গণিত পড়াতে শুরু করেছিলেন।

যাদবপুরে উপাচার্য নিগৃহীত, তদন্ত হবে, জানালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়

ওই জাল মার্কশিটের জেরক্সে সই ছিল বিশ্বভারতীয় তৎকালীন উপাচার্য দিলীপ কুমার সিনহার।

Advertisement

২০০১ সালে দিলীপ কুমার সিনহার অবসরের তিন বছর পর ২০০৪ সালে বিশ্বভারতীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ শো-কজ করে মুক্তি দেবকে। তারপর তাঁকে ছাঁটাই করা হয়।

২০০৪ সালের জুন মাসে তাঁর কলকাতার বাসভবন থেকে দিলীপ কুমার সিনহাকে গ্রেফতার করে সিআইডি। পরে জামিন পেয়ে যান তিনি। ২০০৫ সালের মার্চ মাসে বোলপুল আদালতে এই তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে সিআইডি।

Advertisement

ফেসবুকে মহিলাদের নিয়ে মন্তব্য, অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে যাদবপুর

যে যে ধারায় তাঁদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে তাতে সাত বছর থেকে যাবজ্জীবন পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।

Advertisement

বুধবার এই তিন অভিযুক্তই হাজির ছিলেন আদালতে। বিচারক রায় দেওয়ার পর তাঁদের জেলে পাঠানো হয়।  

১৯২১ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বোলপুরে প্রতিষ্ঠা করেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেশের প্রধানমন্ত্রী। 

Advertisement