বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Visva-Bharati) চত্বর হোক স্টলমুক্ত (stall-free campus)। এই দাবিতে, গতকাল সোমবার ১২ ঘণ্টার অনশন বিক্ষোভ (hunger strike) দেখালেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (VC) বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তাঁর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই চত্বরে হস্তশিল্পের একাধিক দোকান দিয়েছেন হস্তশিল্পীরা। সরকারের কাছে ইউনিভার্সিটির জমি থেকে দ্রুত স্টল সরানোর অনুরোধ জানানোর পরেও নাকি কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই তিনি এই অনশনের পথে হেঁটেছেন।
পুজো কমিটির দখল ঘিরে তৃণমূল বিজেপি টক্কর, জমকালো খুঁটিপুজো
বীরভূম জেলার বোলপুরের শান্তিনিকেতন ক্যাম্পাসে অবস্থিত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয় ৯৮ বছরের পুরনো। দেশ-বিদেশ থেকে বহু পর্যটক সারা বছরই এখানে আসেন রবি কবির স্পর্শ পেতে। অনশনে বসার আগে তাই প্রতিষ্ঠাতার উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সহ সমস্ত কর্মকর্তা। পৌষ মেলার মাঠের গেটের কাছে অস্থায়ী মঞ্চ গড়ে সেখানে নীরব প্রতিবাদও জানান তাঁরা।
হঠাৎ করে কেন অনশনে বসার সিদ্ধান্ত নিলেন উপাচার্য? সূত্রের খবর, সম্প্রতি ন্যাক (ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল)-এর কাছে নাকি কোনও শংসাপত্র এবং স্কোর করতে পারেনি বিশ্বভারতী। তার জন্য নাকি দায়ী এই দোকানঘর। এরপরেই উপাচার্য সিদ্ধান্ত নেন, চত্বর থেকে সরিয়ে নিতে হবে সমস্ত দোকান।
যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা স্টল মালিকদের অস্থায়ী স্টল সরিয়ে নিতে বললেও সেই নির্দেশ কার্যত উপেক্ষা করেছেন অস্থায়ী স্টল মালিকেরা। তাঁদের যুক্তি, প্রায় দুই হাজার মানুষের তৈরি এই স্টলগুলি ১৪০টি পরিবারের মুখে অন্ন তুলে দেয়। এটাই তাঁদের রুজি-রোজগার। এরপরই নিজেদের অস্তিত্ত্ব টিকিয়ে রাখতে তাই পাল্টা প্রতিবাদের পথে নামে হস্তশিল্প শ্রমিক কল্যাণ সমিতিও। সমিতির দাবি, বিকল্প ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত স্টল সরাবেন না কেউই।
উনিশ বছরের বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে
এদিকে সূত্রের খবর, উপ-রাষ্ট্রপতি এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু নাকি ১৬ অগাস্ট আসছেন শান্তিনিকেতনে। ফলে, স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, তড়িঘড়ি তাই কি বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্যায়নে হঠাৎ নজর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের?
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)