This Article is From Feb 28, 2020

সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে’ জড়িত! বিশ্বভারতীর বাংলাদেশি ছাত্রীকে ভারত ছাড়ার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের

ডিসেম্বরে আফসারা মীম শান্তিনিকেতনে সিএএ বিরোধী (Anti-CAA) একটি প্রতিবাদের কিছু ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন। ওই পোস্টগুলির জন্য ট্রোলড হন তিনি এবং ‘বাংলাদেশি সন্ত্রাসবাদী’ তকমাও জুটে যায় তাঁর।

সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে’ জড়িত! বিশ্বভারতীর বাংলাদেশি ছাত্রীকে ভারত ছাড়ার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিদেশি আঞ্চলিক রেজিস্ট্রেশন অফিস থেকে “ভারত ছাড়ো বিজ্ঞপ্তি” পাঠানো হয়েছে।

কলকাতা:

‘সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে' (Anti-government activities) জড়িত থাকার অভিযোগে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Visva Bharati University) এক ২০ বছর বয়সী বাংলাদেশি ছাত্রীকে ভারত ত্যাগ করার নির্দেশ দিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Home Ministry)। আফসারা আনিকা মীম (Afsara Anika Meem) কেন্দ্রীয় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন স্নাতক পড়ুয়া। ১৪ ফেব্রুয়ারির একটি চিঠিতে কলকাতায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিদেশি আঞ্চলিক রেজিস্ট্রেশন অফিস (Foreigners' Regional Registration Office) থেকে “ভারত ছাড়ো বিজ্ঞপ্তি” পাঠানো হয়েছে। বুধবার ওই চিঠি হাতে আফসারা। আফসারা আনিকা বৃহস্পতিবার কলকাতায় বিদেশিদের আঞ্চলিক রেজিস্ট্রেশন অফিসে গিয়েছিলেন বলে খবর। তবে ফোনে তাঁর সঙ্গে তখন থেকেই আর কোনও যোগাযোগ করা যায়নি। আফসারার ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গেই একমাত্র যোগাযোগ রেখেছেন তিনি। বন্ধুরা জানিয়েছেন, গোটা ঘটনায় ওই ছাত্রী খুবই হতবাক এবং কথা বলতেও ভয় পাচ্ছেন।

শুক্রবার অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী, খোঁচা রাজ্য বিজেপির, পাল্টা তৃণমূলের

ডিসেম্বরে আফসারা মীম শান্তিনিকেতনে সিএএ বিরোধী (Anti-CAA) একটি প্রতিবাদের কিছু ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন। ওই পোস্টগুলির জন্য ট্রোলড হন তিনি এবং ‘বাংলাদেশি সন্ত্রাসবাদী' তকমাও জুটে যায় তাঁর।

যদিও বিদেশি আঞ্চলিক রেজিস্ট্রেশন অফিসারের “ভারত ছাড়ো বিজ্ঞপ্তি”তে তাঁর ফেসবুক পোস্টের কোনও উল্লেখ নেই। ওই বিজ্ঞপ্তিতে আদেশ প্রাপ্তির তারিখের ১৫ দিনের মধ্যে ভারত ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছে আফসারাকে। “...তিনি সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত রয়েছেন এবং এই ধরনের কার্যকলাপ তাঁর ভিসার নিয়ম লঙ্ঘন করেছে,” লেখা হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে। “...এই বিদেশি ভারতে থাকতে পারবেন না। এই আদেশ পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে ভারত থেকে চলে যেতে হবে তাঁকে,” উল্লেখ রয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে।

দিল্লি সংঘর্ষে জড়িত আততায়ীদের চিহ্নিত করেছে পুলিশ। শাহরুখের খোঁজে চলছে তল্লাশি

সিপিএম নেতা মহাম্মদ সেলিম জানান, ভিসার নিয়মে কোনও পড়ুয়াকে রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় থাকা যাবে না এমন উল্লেখ নেই। ভিসার নীতিতে কেবল শিক্ষার্থীদের বিদেশে রাজনৈতিক কার্যকলাপে অংশ নেওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

“ব্রিটিশ রাজের সময়, ভারতীয় পড়ুয়ারা লন্ডনে মজলিসের মঞ্চে স্বাধীনতার জন্য সমাবেশ করেছিলেন। ছিলেন জ্যোতি বসু, ভূপেশ গুপ্ত প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। মুজিবুর রহমান যখন তাঁর দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই শুরু করেছিলেন, তখন তিনি কলকাতায় ছাত্র ছিলেন,” বলেন মহাম্মদ সেলিম। তাঁর কথায়, “এই সরকার ভয় পেয়েছে এবং তারা বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের বিশেষ সম্পর্ককেও হুমকির মুখে ফেলছে।”

ডিসেম্বরে, আইআইটি মাদ্রাজের এক জার্মান পড়ুয়াকে সিএএ বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার জন্য ভারত ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়।

নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন বা সিএএ-এর বিরুদ্ধে দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। ডিসেম্বর মাসে সংসদে পাস হয় এই আইন। যদিও সরকারের দাবি যে এই আইন তিনটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ- পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব প্রদান করবে। তবে সমালোচকরা এই আইনকে মুসলিম বিরোধী বলেই অভিহিত করেছেন।

.