This Article is From Feb 18, 2020

টেলিকম সঙ্কট নিয়ে “রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের” অপেক্ষায় আধিকারিকরা, জানাল সূত্র

ভোডাফোন আইডিয়ার (Vodafone Idea) ক্ষতির পরিমাণ ২ লক্ষ কোটি টাকা, তারাই গত দশকের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত

টেলিকম সঙ্কট নিয়ে “রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের” অপেক্ষায় আধিকারিকরা, জানাল সূত্র

সরকারের কাছে ভোডাফোনের আর্জি তাদের থেকে যেন রাতারাতি বকেয়া আদায়ের পদক্ষেপ না করা হয়

নয়াদিল্লি:

চারদিন আগেই টেলিকম সংস্থাগুলির বকেয়া না মেটানো নিয়ে তাদের ধমক দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট, মঙ্গলবার টেলিকম মন্ত্রকের আধিকারিকরা (Telecom Ministry) জানালেন, রায়ের সম্মতিতে ব্যাঙ্ক গ্যারান্টির সাহায্য চাওয়ার ব্যাপারে শীর্ষ মহলের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা, তারসঙ্গে সঙ্কটে চলতে থাকা মোবাইল পরিষেবা ক্ষেত্রের ভাগ্য নির্ধারণে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের ইঙ্গিত মিলল। ভোডাফোন আইডিয়ার (Vodafone Idea) ক্ষতির পরিমাণ ২ লক্ষ কোটি টাকা, তারাই গত দশকের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, সরকারের কাছে তাদের ৭,০০০ কোটি টাকা ঋণ রয়েছে, তবে সুদ এবং জরিমানা মিলিয়ে তাদের পরিশোধ করতে হবে প্রায় ২৫,০০০ কোটি টাকা, যা সংস্থার তরফে পরিশোধ করা কঠিন।

মঙ্গলবার টেলিকম সচিব অংশু জৈনের সঙ্গে দেখা করে সঙ্কট নিয়ে আলোচনা করেন ভোডাফোন সংস্থার চেয়ারম্যান আদিত্য কুমারমঙ্গলম বিড়লা এবং ভোডাফোন আইডিয়ার চিফ এক্জিকিউটিভ অফিসার রবীন্দ্র থাক্কর।

বকেয়ার আংশিক বকেয়া মেটাল টেলিকম সংস্থাগুলি, নয়া উদ্বেগে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক

সোমবার NDTV কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংস্থার আইনজীবী মুকুল রোহতাগি বলেন, “সরকারের , ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি ভাঙানো উচিত নয়, তাহলে আগামিকালই সংস্থা বন্ধ হয়ে যেতে পারে”।

এর আগে “ভোটাফোন আইডিয়ার গল্প শেষ হওয়ার” ইঙ্গিত দেন আদিত্য কুমারমঙ্গল বিড়লা, যদি সরকারের ছাড়ের বিপক্ষে পদক্ষেপ করে তাহলে।

যদিও সূত্র মারফৎ ইঙ্গিত মিলেছে যে, আবারও সুপ্রিম কোর্টে ধমক খাওয়ার ভয়ে, কোনও রকম দেরি না করে ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি ভাঙাতে চান আধিকারিকরা। তাঁদেরই একজন বলেন, “বিষয়টি নিয়ে তাঁরা শুধুমাত্র রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অপেক্ষায় রয়েছেন”।

সমস্যার সূত্রপাত ১৯৯৯ সালে, সেই সময় অগ্রিম ফি এর বদলে, মোবাইল সংস্থাগুলিকে তাদের লভ্যাংশ স্পেকট্রাম চার্জ হিসেবে দেওয়ার অনুমতি দেয়। সেই লভ্যাংশের হিসেব হবে এজিআরের ওপর ভিত্তি করে।  

সুপ্রিম কোর্টের হুঁশিয়ারির পর কেন্দ্রকে ১০,০০০ কোটি টাকা মেটাল Bharti Airtel

যাইহোক, এজিআরের হিসেব করা নিয়ে টেলিকমমন্ত্রকের (Department of Telecommunications) সঙ্গে মতভেদ রয়েছে মোবাইল অপারেটরগুলির। তাদের বক্তব্য, শুধুমাত্র টেলিকম পরিষেবার মাধ্যমে আয়ের ওপর ভিত্তি করে এজিআরের হিসেব করা হোক, অন্যদিকে, টেলিকম মন্ত্রক ২০০২ সালে জানিয়েছে, এজিআরের হিসেব করা হবে বৈদেশিক মুদ্রা লাভ এবং ব্যাঙ্কে জমা টাকার সুদের ওপরেও।  তা মানতে নারাজ মোবাইল সংস্থাগুলি এবং সেবছরই আদালতে দ্বারস্থ হয় তারা।

গতমাসে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অরুণ মিশ্রের বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, প্রথম দিন থেকেই টেলিকম মন্ত্রক এজিআরের যে পদ্ধতি উল্লেখ করেছে, তা ঠিক ছিল। ১৬টির মধ্যে যে যে ১১টি সংস্থার তরফে দাবি তোলা হয়েছি, তারা নীরব ছিল, তবে দেরিতে টেলিকম ক্ষেত্রে আসায় প্রভাব পড়েনি রিলায়েন্স জিও এর ওপর।

.