This Article is From May 09, 2018

$16 বিলিয়নে ফ্লিপকার্টের 77% শেয়ার কিনে নিলো ওয়ালমার্ট

11 বছরের এই ভারতীয় ই কমার্স ফার্মটির মোট সম্পদের পরিমান $ 20.8 বিলিয়ন

$16 বিলিয়নে ফ্লিপকার্টের 77% শেয়ার কিনে নিলো ওয়ালমার্ট

ফ্লিপকার্টের মোট সম্পদের পরিমান $ 20.8 বিলিয়ন

হাইলাইটস

  • ওয়ালমার্ট এবার ভারতের বাজার অনেকটা দখল করবে
  • ভারতের ই কমার্স মার্কেটে ওয়ালমার্টের এক রাজকীয় জয়
  • অ্যামাজনের সাথে প্রতিযোগিতায় ফ্লিপকার্ট অনেকটা সমর্থন পেলো
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রিটেলার সংস্থা ওয়ালমার্ট আইএনসি প্রায় 16 বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে ফ্লিপকার্টে 77 শতাংশ শেয়ার কিনে নিলো। 11 বছরের এই ভারতীয় ই কমার্স ফার্মটির মোট সম্পদের পরিমান $ 20.8 বিলিয়ন। ফ্লিপকার্টের 77 শতাংশ শেয়ার কিনে বার্মনভিল, আর্কান্স-ভিত্তিক সংস্থা ওয়ালমার্ট আজ এই ঘোষণাটি করেছে। ওয়ালমার্ট নিজের বক্ত্যব্যে জানিয়েছেন, 2007 সালে শচীন বানসাল এবং তার সহ পার্টনার বিনি বানসাল যারা এই সংস্থা শুরু করেছিলেন তারা এবার চুক্তি সইয়ের পর বিদায় নেবেন। জাপানের বিনিয়োগকারী সফটব্যাঙ্ক অবধি নিজের 20শতাংশ শেয়ার বিক্রি করে শচীন এবং বিনিদের মত বিদায় নেবেন।

Amazon.com Inc মতন সংস্থার হয়ে কাজ না করলেও তাদের মতোই শচীন বিনি ফ্লিপকার্টের মতো সংস্থাতৈরী  করে অনলাইনে বই বিক্রি করতে শুরু করে ছিল। ভারতের প্রথম বিলিয়ন ডলার ই কমার্স সংস্থা হিসেবে তাদের এই মুহূর্তে গ্রাহকেরসংখ্যা প্রায় ১০০ মিলিয়ন। এবং 80টি ক্যাটাগরি মিলিয়ে তাদের মোট পণ্যের সংখ্যা প্রায় 8 মিলিয়ন।


flipkart walmart bloomberg

সফ্ট ব্যাঙ্ক সংস্থার আধিকারিক আগেই জানিয়েছেন যে , ফ্লিপকার্টে  20 শতাংশ শেয়ার কেনার পর থেকে ভারতীয় অনলাইন বাজারে তাদের বিনিয়োগ প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এবং ফ্লিপকার্টের খাতা কলমের হিসেবে অন্য বিনিয়োগকারী মানে টাইগার গ্লোবাল, অ্যাকিলে মতো শচীনের খোদ নিজের শেয়ার মাত্র 5 শতাংশ।

গত বছর ফ্লিপকার্টের বিনিয়োগকারী টাইগার গ্লোবালের একজন কার্যনির্বাহী অধিকারিক কল্যাণ কৃষ্ণমূর্তি ফ্লিপকার্ট সংস্থার সিইও হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এবং বিনি বানসাল গোটা সংস্থার সিইও হিসেবে রূপান্তরিত হয়।  যার মধ্যে রয়েছে, ফ্যাশন সাইট মিন্ত্রা জাবং , পেমেন্ট সাইট ফোন পে এবং লগিটিক্স সাইটস ই কার্ট। 
এই চুক্তির ফলে দুই সংস্থাই যথেষ্ট যথেস্ট লাভবান হলো, কারণ ওয়ালমার্ট এবার ভারতের বাজারের নিজেরদের ব্যবসায়ী পরিসীমা অনেকটাই বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবে আর অন্যদিকে ফ্লিপকার্টের মতো সংস্থা আমেরিকার প্রযুক্তির সাহায্যে আরো ভালোভাবে আগামী দিনে সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিতে পারবে।
.