নির্বাচনে ব্যাপক জয়ের জন্য ২৬ মে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে অভিনন্দন জানান ইমরান খান(ফাইল ছবি)
ইসলামাবাদ: সব সমস্যার সমাধানে নয়াদিল্লির সঙ্গে আলোচনা চায় ইসলামাবাদ, এই বার্তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। বিসকেকে এসসিও বৈঠকের মাঝে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে বৈঠক হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে ভারত। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, তার একদিন পরেই কাশ্মীর সহ অন্যান্য সম্যাগুলি সমাধানে আলোচনা চাইল পাকিস্তান। তাঁর চিঠিতে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে বসার জন্য নরেন্দ্র মোদীকে (PM Modi) অভিনন্দন জানিয়েছেন ইমরান খান(Imran Khan)। তিনি বলেন, দুই দেশের দরিদ্রতা দূরীকরণে একমাত্র রাস্তা আলোচনা, পাশাপাশি আঞ্চলিক উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন বলেও ইমরান খান চিঠিতে উল্লেখ করেছেন বলে জিও টিভির খবর।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ভারতের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার ইচ্ছেপ্রকাশ করলেন পাক প্রধানমন্ত্রী(Pak PM)। ১৪ ফেব্রুায়ারি পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা এবং তারপর বালাকোটে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরে ভারতের বিমান হানা এবং তার পরদিন পাকিস্তানের(Pakisthan) পাল্টা আক্রমণে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ে। যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়।
দুই দেশের মধ্যে বরফ গলতে শুরু করে ২৬ মে। লোকসভা নির্বাচনে ব্যাপক জয় নিয়ে নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi) দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফিরে আসার পর, তাঁর সঙ্গে কথা বলেন ইমরান খান (Imran Khan)। দক্ষিণ এশিয়ার সমৃদ্ধি, উন্নয়ন ও শান্তির জন্য একসঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি।
অঞ্চলে শান্তি এবং সমৃদ্ধির জন্য বিশ্বাস এবং সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশ তৈরি করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi)। পাকিস্তানর তরফে করা আলোচনার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে ভারত জানিয়ে দিয়েছে, সন্ত্রাস ও আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না।
নয়াদিল্লিতে বৃহস্পতিবার বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, কিরগিজস্তানের রাজধানী বিসকেকে এসসিও বৈঠকের মাঝে ভারত ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের কোনও পরিকল্পনা নেই।
এর আগে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে চিঠি লিখে “সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি” নিয়ে আলোচনার ইচ্ছা প্রকাশ করেন পাকিস্তানের(Pakisthan) বিদেশমন্ত্রী শাহ মহম্মদ কুরেশি।
কূটনৈতিক সূত্র উদ্ধৃত করে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, ডঃ জয়শঙ্করকে লেখা চিঠিতে কুরেশি উল্লেখ করেন, “সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা চায় নয়াদিল্লি এবং অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ”।