গাছ কেটে ফেলায় এলাংবামের কান্নার ছবি ভাইরাল হয়
ইম্ফল: পরিবেশ বলতে কি বোঝায় তা জানা ছিল না। কিন্তু, ছোট্ট হাতে নদীর ধারে দুটি গুল্মের চারা লাগিয়েছিল প্রথম শ্রেণির মেয়েটি। চারা দু'টির লালন পালনেও তার ত্রুটি মেলা ভার। মেয়েটির সঙ্গেই যত্নে বেড়ে উঠছিল গাছ দু'টি। বছর চারেক পার। রাস্তা নির্মাণের জন্য কাটতে হয়েছে সেই প্রায় প্রাপ্ত বয়স্ক গুল্মের দুটি গাছ। তখন পাশে দাঁড়িয়ে হাপুস নয়নে কেঁদে চলেছে ৯ বছরের মেয়েটি। তাঁর যেন আপনজন বিয়োগের যন্ত্রণা। পঞ্চম শ্রেণির মেয়েটি মণিপুরের কাকচিং জেলার এলাংবাম ভ্যালেনটিনা দেবী। তার সেই কান্নার ভিডিও ভাইরাল হয়। যা নজর এড়ায়নি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও সরকারি আধিকারিকদের। তারপরই প্রকৃতিপ্রেমী এলাংবাম ভ্যালেনটিনাকে মণিপুরের ‘গ্রিন মিশনে'র দূত হিসাবে নির্বাচিত করা হয়। এক সাক্ষাৎকারে গ্রিন অ্যাম্বাসাডর জানায়, পরিবেশ সংরক্ষণের বার্তা দিতেই পরবর্তীকালে ফরেস্ট অফিসার হতে চায় সে।
#SelfieWithSapling: বিশ্ব পরিবেশ দিবসে চারাগাছের সঙ্গে সেলফি নেওয়ার আহ্বান প্রকাশ জাভড়েকরের
চার বছর আগে লাগানো গাছ রাস্তা তৈরির জন্য কাটা পড়েছে। আবেদনেও কাজ হয়নি। আর তাতেই কান্নায় ভেঙে পড়েছিল এলাংবাম। যা ভাইরাল হতেই পদক্ষেপ করে প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং মেয়েটিকে ‘গ্রিন মিশনে' নিয়োগ দেন। একই সঙ্গে ক্ষতিপূরণ হিসাবে রাজ্যের বন দফতরকে ২০টি চারা তাকে দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
এতে খু্শি এলাংবাম। তাঁর কথায়, ‘বুঝতে পারি না কেন অধিকাংশ মানুষই পরিবেশ সংরক্ষণ নিয়ে সচেতন নন। বন আধিকারিক হয়ে আমি মানুষকে পরিবেশ সম্বন্ধে সচেতন করতে চাই।'
‘জীবন্ত ডাস্টবিন' হয়েই পরিবেশ বাঁচানোর ডাক দিচ্ছেন উড়িষ্যার যুবক
বাড়িতেও নিজেই বাগান করেছে বছর নয়েকের মেয়েটি। জানান এলাংবামের বাবা প্রেমকুমার। বলেন, ‘বাড়ির গাছেদের যত্ন নেয় আমার মেয়েই। সেদিন বহু চেষ্টা করেও ওই দুটো গাছ বাঁচাতে পারিনি।'
মণিপুরের রাজ্য তথ্য ও জনসংযোগ দফতরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এলাংবাম ভ্যালেনটিনাকে মণিপুরের ‘গ্রিন মিশনে'র দূত হিসাবে নিয়োগ করা হচ্ছে। আগামী এক বছর সে এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। প্রকৃতির প্রতি তার ভালোবাসার কারণেই এই নিয়োগ। পরিবেশ সচেতনতার কাজ করবে মেয়েটি।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)