আচার্য-উপাচার্য ভার্চুয়াল বৈঠক নিয়ে একপ্রস্থ নবান্ন বনাম রাজভবন তরজা শুরু হয়েছে।(ফাইল ছবি)
কলকাতা: বিজেপির মুখপাত্রের মতো কথা বলছেন রাজ্যপাল। ফের জগদীপ ধনখড়কে কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। আচার্য-উপাচার্য ভার্চুয়াল বৈঠক নিয়ে একপ্রস্থ নবান্ন বনাম রাজভবন তরজা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যপাল বলেছিলেন, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো রাজনীতি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। পাশাপাশি দিন কয়েক আগে বিজেপি বিধায়কের অস্বাভাবিক মৃত্যুকেও রাজনৈতিক খুন আখ্যা দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। এই দুই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এদিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, "আপনারা মনে করেন উনি একটা সাংবিধানিক পদে বসে আছেন? উনি তো রাজনীতিবিদদের মতো কথা বলছেন। পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাব্যবস্থা এক নম্বরে। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে কারও তুলনাই চলে না।"
বিধানসভাতেও করোনার হানা, আক্রান্ত টাইপিস্ট, অন্যান্য কর্মীরা কোয়ারান্টাইন
সাম্প্রতিক কিছু প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তাঁর প্রশ্ন, "বাংলার ক'জন নোবেলজয়ী? ওরা নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কী করছে? জেএনইউ, জামিয়ার কী অবস্থা? পিটিআইয়ের সঙ্গে কী করলো? আভরা সবাই জানি। ওরা সরকারের সমালোচনা করে খবর করেছিল, তাই এই সিদ্ধান্ত। ওদের থেকে আমরা শিখবো না।"
এদিকে, ফের একবার চরমে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। এবার আচার্যের সঙ্গে উপাচার্যদের বৈঠক ঘিরে চরমে সংঘাত। রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থার বেহাল দশার অভিযোগ তুলে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে রাজনৈতিক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে রাজ্য।" রাজভবন সূত্রে খবর, ১৫ জুলাই রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক ডেকেছিলেন আচার্য তথা রাজ্যপাল। কিন্তু ওই বৈঠকে কোনও উপাচার্যই উপস্থিত হননি। এতেই বাড়ে বিবাদ। সম্প্রতি সেমেস্টার পরীক্ষা ও ইউজিসির নোটিশ নিয়ে পড়ুয়া মহলে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে।
করোনাকে রুখতে পূর্ণ সময়ের জন্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিয়োগ করুন মুখ্যমন্ত্রী, চান বিরোধীরা
সেই বিভ্রান্তি দূর করতে ইউজিসি ও প্রধানমন্ত্রীর দফতরকেও চিঠি লিখেছে নবান্ন। এই টানাপোড়েনে মধ্যস্থতা করতে এগিয়ে আসেন রাজ্যপাল। ফাইনাল সেমেস্টার নিয়ে সিদ্ধান্ত বদলের আবেদন জানিয়ে ইউজিসির কাছে দরবার করেন রাজ্যপালও। এমনটাই দাবি করেছিলেন রাজ্যপাল।
বুধবার সংবাদমাধ্যমের সামনে তাঁর অভিযোগ, " এই কোভিড সময়ে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আমি উপাচার্যদের ভার্চুয়াল বৈঠক ডেকেছিলাম। কিন্তু কেউ সেই বৈঠকে আসেনি। যুদ্ধের পরিস্থিতি।"
এই অভিযোগের পাল্টা হিসেবে শিক্ষা দফতর টুইট করে রাজ ভবনকে জানিয়েছে, রাজ্যপাল এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে কাজ করছেন। শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাজ্যপালের এক্তিয়ারভুক্ত। কোনও বিষয়ে জানতে বা বুঝতে গেলে শিক্ষা দপ্তরের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে হয়। রাজ্যপাল যে কাজ করেছেন সেটা বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ৮(৫) ধারার পরিপন্থী।