রবিবার জেএনইউতে যে হামলা হয়েছিল তাতে আহত হন Aishe Ghosh
হাইলাইটস
- অভিযোগ করলেই হবে না, প্রমাণ দিতে হবে পুলিশকে, জোর গলায় বললেন ঐশী ঘোষ
- জেএনইউ হামলার নেপথ্যে থাকা অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছে ঐশী ঘোষের নামও
- শুক্রবারই ওই হামলার নেপথ্যে থাকা অভিযুক্তদের নাম ও ছবি প্রকাশ করে পুলিশ
নয়া দিল্লি: না, দিল্লি পুলিশের অভিযোগ মুখ বুজে মেনে নিতে রাজি নন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে বাম ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী ঐশী ঘোষ, পুলিশকে আদালতে ওই অভিযোগ প্রমাণ করার জন্যে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন তিনি। শুক্রবারই জেএনইউ হামলার (JNU Violence) নেপথ্যে যাঁরা রয়েছে তাঁদের ছবি প্রকাশ করে অভিযুক্তদের নাম উল্লেখ করেছে পুলিশ (Delhi Police), যার মধ্যে রয়েছে ঐশী ঘোষের নামও। গত রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাঙচুর ও হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি (Aishe Ghosh) এবং বেশ কয়েকজন, স্পষ্ট জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। আর এই অভিযোগের পরেই একটি আবেগময় পোস্ট করে পাল্টা দাবি করলেন ঐশী। "আমি ওই দিন কোনও মুখোশ পরা অবস্থায় ছিলাম না ... বরং আমিও হামলায় আক্রান্ত হয়েছিলাম। আমার রক্তে ভিজে যাওয়া কাপড় এখনও রয়েছে",সাংবাদিকদের সামনে উপস্থিত হয়ে জোর গলায় বলেন তিনি। দিল্লি পুলিশ শুক্রবার বেশ কয়েকজন অভিযুক্তের নাম করে ওই হামলা চলার সময় তোলা তাঁদের ছবি প্রকাশ করে। অভিযুক্তদের মধ্যে উঠে আসে ঐশী ঘোষ সহ আরও কিছু বাম ছাত্রনেতার নাম।
JNU Violence: হস্টেলে হামলায় অভিযুক্ত ঐশী ঘোষ ও অন্যান্যদের ছবি প্রকাশ করল দিল্লি পুলিশ
এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার ঐশী ঘোষ বলেন, "আমাদের দেশের আইন-শৃঙ্খলার উপর আমার সম্পূর্ণ বিশ্বাস আছে ... আমরা কোনও অন্যায় করিনি। দিল্লি পুলিশ আমাদের ফুটেজ প্রকাশ করুক ... আমরা এভাবে কিছুতেই সন্দেহভাজন তালিকায় থাকতে পারি না। আমাদের সংগঠনের কোনও সদস্যই কোনও অন্যায় করেনি"।
৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় প্রায় ৭০ থেকে ১০০ জন মুখোশধারী গুণ্ডা, লোহার রড এবং হাতুড়ি নিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশ করে এবং প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে সেখানে এবং জেএনইউয়ের ছাত্রাবাসে হামলা চালায় যাতে আহত হন ৩৪ জন।
JNU Attack: বহিরাগত নয়, অধিকাংশ হামলাকারীই এসেছে ভিতর থেকে, সন্দেহ পুলিশের
হামলা চলাকালীন সেই সময় পুলিশ সেখানে উপস্থিত থাকলেও নিষ্ক্রিয় ছিল তাঁরা, এমন অভিযোগও ওঠে দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে।
হামলার পর জেএনইউ ছাত্র সংসদের সহ সভাপতি সাকেত মুন অভিযোগ করেন, "বিকেল থেকেই পুলিশ ক্যাম্পাসে ছিল, কিন্তু তাঁরা এই হামলা থামাতে কিছুই করেনি।"
ওই হামলায় আহতদের মধ্যে ছিলেন ঐশী ঘোষও, যাঁর মাথায় সেই সময় গুরুতর আঘাত লাগে এবং রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়।
কিন্তু ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের পর আজ (শুক্রবার) দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল বা ছাত্রাবাসের বর্ধিত ফি সহ অন্যান্য ব্যয়বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন একদল ছাত্র। সেই সময়েই অনলাইন রেজিস্ট্রেশন বন্ধ করতে এবং তাঁদের বিক্ষোভ তথা ধর্মঘটকে কার্যকর করতে জেএনইউয়ের সার্ভার রুমে ঢুকে হামলা চালান ঐশী ঘোষ এবং অন্য বাম ছাত্রনেতারা।
যদিও পুলিশ স্বীকার করেছে যে রবিবারের বহু সিসিটিভি ফুটেজ, ভিডিও রেকর্ডিং এবং প্রত্যক্ষদর্শীর অভাবে এই হামলার পিছনে থাকা মুখগুলিকে চিহ্নিত করতে বেশ অসুবিধাই হচ্ছিল তাঁদের।
এদিক ঐশী ঘোষ অভিযোগ করেন,"স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীই দিল্লি পুলিশকে কাজ না করার নির্দেশ দিয়েছিলেন ... তাঁরা সেখানে থাকলেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলে গেলেও কেউ ভেতরে আসেননি এবং উপাচার্য এই পুরো বিষয়টি পরিচালনা করেছিলেন। উনি একজন এবিভিপি এজেন্টের মতো কাজ করেছিলেন সেদিন"।