মৃত সন্তানকে নিয়ে শোকমিছিলে মা
নিউ দিল্লি: শুধু মানুষই একা অনুভূতিপ্রবণ? একেবারেই না। জগতের বাকি জীবেরাও যে একই ভাবে শোকে-দুঃখে কাতর হয় তার জ্বলন্ত প্রমাণ সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া এই ভিডিও। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, শেষকৃত্যের (Funeral) জন্য সন্তানের (Calf) শবদেহ নিয়ে চলেছে হাতি মা (Elephant Mother) । চোখে তার জলের ধারা। এই ভিডিও দেখে বিস্মিত নেটিজেনরা (Netigen) স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন, মানুষের মতোই প্রখর অনুভূতিশক্তি পশুদেরও!
অমানবিক: বহুতলের বারান্দা থেকে দুই পোষ্যকে ছুঁড়ে ফেলে দিলেন চিকিৎসক!
ট্যুইটারে এমন মর্মস্পর্শী ভিডিও পোস্ট করেছেন ভারতীয় বন দফতরের (Indian Forest Service) অফিসার প্রবীণ কাসওয়ান (Parveen Kaswan)। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বন থেকে বেরিয়ে রাস্তা দিয়ে মৃত সন্তানকে শুঁড়ে পেঁচিয়ে নিয়ে শেষকৃত্যে যাচ্ছে এক মা হাতি। দূরে দাঁড়িয়ে সেই দৃশ্য দেখছেন স্থানীয় একদল মানুষ। মায়ের পিছন থেকে এবার বেরিয়ে এসে সামনে দাঁড়ায় আরও একটি ছোট হাতি। তার পেছনে পেছনে আসে হাতি পরিবারের বাকি সদস্যরা। সবাই মা আর মৃত সন্তানকে ঘিরে দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করে। তারপর ফের সন্তানের দেহ শুঁড়ে পেঁচিয়ে মা হাঁটা দেয় জঙ্গলের দিকে।
"দেখুন, সন্তানশোকে কেমন বিহ্বল হাতির পরিবার। কিছুতেই তারা ছাড়তে চাইছে না তাদের প্রিয় সন্তানকে" এমনটাই লেখা ভিডিওর ক্যাপশনে।
অন্য ট্যুইটে প্রবীণ কাসওয়ান জানান, অনেকেই বলেন জঙ্গলে নাকি হাতিদের সমাধি ক্ষেত্রে আছে। দিও আমি কোনোদিন তা চোখে দেখিনি। তবে শুনেছি, হাতিরা নাকি নদীর ধারে শেষশয্যা পাততে পছন্দ করে। "
কোথায় এই ঘটনা ঘটেছে ভিডিও দেখে সেটা বোঝা না গেলেও, নেটিজেনদের মতে এর থেকে মর্মস্পর্শী ভিডিও আর হয় না। সন্তানের মৃত্যুতে সমান যন্ত্রণা পান সব মা-ই। বিশেষজ্ঞদের মতে, হাতিদের সমাজ এখনও মাতৃতান্ত্রিক। হাতির দল মহিলা হাতির অনুশাসন মেনে চলে। সেই দলের প্রধান বা কর্ত্রী।
ছিলেন বিগ বি হয়ে গেলেন পাক প্রধানমন্ত্রী! হ্যাক হল অমিতাভ বচ্চনের টুইটার
স্মিথসোনিয়াম ম্যাগাজিন (Smithsonian Magazine)-এ প্রকাশিত একটি নিবন্ধ জানাচ্ছে, পশুরা এভাবেই তাদের প্রিয়জনদের মৃত্যুতে শোকপালন করে। এর আগে একটি তিমি সন্তানের দেহ আঁকড়ে অনেকদিন ঘোরার পর প্রশান্ত মহাসাগরের জলে তাকে সমাধিস্থ করে। একই ভাবে পরিবারের এক বয়স্ক সদস্যের মৃত্যুর পর অনেকদিন তার দেহ আগলে রেখেছিল শিম্পাজির একটি দল। দেহে প্রাণের সাড়া আছে কিনা বুঝতে তারা বারেবারে পরীক্ষা করে দেখছিল মৃতের শরীর। যত্ন করে গায়ের থেকে সরিয়ে দিচ্ছিল ঝরে পাতা পাতা, খড়। মৃতদেহ সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরেও তারা ওই জায়গা আগলে পড়েছিল অনেকদিন।