যে পুলিশের মাথা থেকে উকুন বাছছিল ওই বাঁদরটি তাঁর নাম শ্রীকান্থ দ্বিবেদি
New Delhi: মন দিয়ে বসে ফাইল ঘাঁটছেন থানার দারোগাবাবু। চারপাশে কোথাও কিছু নেই, চোর ছ্যাঁচোড়ের তেমন ভিড়ও না। ফাইলের পাতা ওল্টাতে ওল্টাতেই মাথায় কে যেন আঙুল বোলাচ্ছে টের পেলেন পুলিশবাবু! ঘাড় ঘোড়াতেই হকচকিয়ে তিনি দেখেন, মাথার চুলে বিলি কাটছে আস্ত এক ল্যাজঝোলা বাঁদর! আসলে বিলি কাটছে না সে, মাথার উকুন বাছছে। দুরন্ত মজার এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। বাঁদরের কাছ থেকে এমন মাথার মালিশ পেয়েছেন ওই রাজ্যের পিলিভিট জেলার সর্দার কোতওয়ালি থানার (Sadar Kotwali Police Station) পুলিশকর্তা। এক পুলিশ আধিকারিকের অনলাইনে শেয়ার করা ঘটনাটির ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, নিজের ডেস্কে বসে শান্তভাবে ফাইলগুলি পর্যালোচনা করছেন ওই পুলিশ কর্মী, আচমকাই একটি বাঁদর তার কাঁধে বসে চুল থেকে উকুন বাছতে শুরু করে।
মায়ের পাশ থেকে ৮ মাসের ঘুমন্ত শিশুকে অপহরণ, ক্যামেরায় ধরা পড়ল সেই ছবি
“পিলিভিটের এই পুলিশ আধিকারিকদের অভিজ্ঞতা থেকেই বোঝা যায় যে, আপনি যদি কর্মরত থাকাকালীন ঝামেলা পোহাতে না চান... তবে রিঠা, শিখাকাই বা অন্য কোনও ভাল শ্যাম্পু ব্যবহার করুন,” মজার এই ট্যুইটটি করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাহুল শ্রীবাস্তব। যে পুলিশের মাথা থেকে উকুন বাছছিল ওই বাঁদরটি তাঁর নাম শ্রীকান্থ দ্বিবেদি। তবে বাঁদরের উকুন বাছার ঘটনা দেখে ওই পুলিশকর্মীর অন্য সহকর্মীরা চেঁচামেচি জুড়লেও দিব্যি খোসমেজাজে কিন্তু কাজ চালিয়ে গিয়েছেন শ্রীকান্থ!
খাবারের বদলে পোষ্য! ডেলিভারি দিতে এসে কুকুরকে কিডন্যাপ করল ডেলিভারি বয়?
এদিকে, শ্রীকান্থের পিছনের জানালায়, দু'জন লোককে বলতে শোনা যায় বাঁদরটিকে কীভাবে পুলিশের পিঠ থেকে নামানো যায় তা নিয়ে শলা পরামর্শ করতে। একজন তো বলেই ফেলেন বাঁদরকে তাড়াতে এক্ষুণি কলা খেতে দেওয়া হোক ওকে।
টুইটার ব্যবহারকারীরা ভিডিওটি দেখে স্বাভাবিকভাবেই হেসে খিল ধরিয়েছেন পেটে! একজন বলেছেন, এই বাঁদর নিশ্চয়ই ওই পুলিশকর্মীর বন্ধু! অন্য একজন আবার কমেন্টেই লিখেছেন, “স্যারের জন্য নিখরচায় পরিষেবা!”
বাঁদর এবং হনুমান জাতীয় প্রাণিদের জন্য এই উকুন বাছা একটি গুরুত্বপূর্ণ রোজের কাজ। সে বন্যই হোক বা পোষ্য। বাঁদরেরা একে অপরের দেহ থেকে উকুন এবং অন্যান্য পরজীবী সরাতে তা বেছে দেয়। এই কাজটি কেবল দেহ পরিষ্কার রাখতে নয়, বাঁদরদের বিভিন্ন সদস্যদের মধ্যে সামাজিক বন্ধন বিকাশ ও তা জোরদার করতে সহায়তাও করে। কিন্তু মানুষের উকুন বেছে দেওয়া মোটেও তাদের কাজের মধ্যে পড়ে না!
পিলিভিট জেলায় একটি ব্যাঘ্র অভয়ারণ্যও রয়েছে। রাজ্যের পর্যটন দফতরের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, ৭৩০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই অরণ্য অঞ্চল দেশের ৪৫ তম স্থানে রয়েছে এবং এখানে রয়েছে ১২৭ প্রজাতির প্রাণী, ৩২৬ প্রজাতির পাখি এবং ২ হাজারেরও বেশি ফুলের গাছ।
জুলাই মাসেই গ্রামবাসীরা একটি বাঘিনীকে লাঠিপেটা করে মেরে ফেলে, এই বর্বর আক্রমণ সারা দেশের বিভিন্ন মহলে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দেয়। ওই ঘটনার একটি দুই মিনিটের ভিডিও অনলাইনে শেয়ার করা হয়েছিল।