শনিবার কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর নিজের টুইটার পেজে এই ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন: ''এবার পোশাক দেখে বলতে পারবেন, এরা করা!''
সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দিতে কেরলের এক গির্জা এবার অভিনব পন্থা অবলম্বন করলো। দেশব্যাপী চলা সিএএ-বিরোধী আন্দোলনের মধ্যে মুসলিম সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়াতে সে রাজ্যের পাথানামথিত্তা জেলার কোজেনচেরির একটি গির্জায় একদল যুবক-যুবতী বড়দিনে ফেজ টুপি ও হিজাব পরে ক্যারল (ক্রিশ্চানদের আনন্দ সঙ্গীত) গাইলেন। শনিবার কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর নিজের টুইটার পেজে এই ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন: ''এবার পোশাক দেখে বলতে পারবেন, এরা করা!'' সেই টুইটের নীচে পাল্টা মন্তব্যও করেছেন জিজয় ম্যাট নামের এক যুবক। তিনি লিখেছেন, হ্যাঁ, এটাই আমাদের ভারত। কেউ আমাদের ধর্মীয় ঐক্যে আঘাত হানতে পারবে না।
"নোটবন্দি ২": সরকারকে সিএএ এবং এনআরসি নিয়ে আক্রমণ করলেন রাহুল গান্ধি
স্থানীয় একটা অনলাইন সংবাদমাধ্যম, ২৫ ডিসেম্বর কোজেনচেরির সেন্ট থমাস মার্থমা গির্জার এই ক্যারল গানের দৃশ্যটা সম্প্রচারিত করেছিলো। সঙ্গে সঙ্গেই সেটা নেটিজেনদের নজরে এলে, শুরু হয় সোশাল সাইটে ব্যাপক (viral) প্রচার। এমনকী, সেদিন ছেলেরা ফেজ টুপি আর মেয়েরা হিজাব পরে মুসলিম এক লোকগীতির সুরে ক্যারলটি গেয়েছেন বলে দাবি করেছে ওই গির্জা। যে লোকগীতি মাপ্পিলা গান নামে বেশি পরিচিত।
"অসম নাগপুর দ্বারা চালিত হবে না ": BJP, RSS-কে কটাক্ষ করলেন রাহুল গান্ধি
দিন কয়েক আগে দেশজুড়ে যখন সিএএ-বিরোধী আন্দোলনের মাত্রা তুঙ্গে, তখন এক জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দাবি করেছিলেন, পোশাক দেখেই বোঝা যাচ্ছে কারা হিংসায় মদত দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর ওই মন্তব্য দেশজুড়ে আলোড়ন ফেলেছিলো। তীব্র সমালোচনা করেছিলো বিরোধীরা। সমাজকর্মীদের একাংশ দাবি করেছিলেন, আদতে বিভেদের রাজনীতি করছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। চলতি মাসের ১১ তারিখ আইনে পরিণত হওয়া সংশোধিত নাগরিকত্ব বিলের বিরোধিতায় পথে নেমে এখনও পর্যন্ত গোটা দেশ থেকে ২৫ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। উত্তর প্রদেশে সংখ্যাটা বেশি। সম্পত্তিহানির পরিমাণ কয়েক লক্ষ-কোটি টাকা। হাজারের বেশি আন্দোলনকারীকে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের পুলিশ আটক করেছে। চলছে ক্ষতিপূরণ আদায়ের পালাও।
তার মধ্যে কেরলের ওই গির্জার এই সম্প্রীতির বার্তা নেটিজেনদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। জানা গেছে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে, এই প্রথম নাগরিকত্বের পরীক্ষা হবে। মুসলিম অধ্যুষিত পড়শি দেশগুলি থেকে ধর্মের ভিত্তিতে বিতাড়িত হয়ে ভারতে আসা সংখ্যালঘুরা দ্রুত এই আইনের মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাবেন। যদিও বিরোধীদের দাবি, এই আইন মুসলিমদের প্রতি বৈষম্যমূলক এবং সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর পরিপন্থী।