ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) বন বিভাগ উদ্ধার করল এক বিপন্ন বিরল প্রজাতির প্যাঙ্গোলিনকে (pangolin)। ভারতীয় বন বিভাগের আধিকারিক সুশান্ত নন্দা (Susanta Nanda) সেই ভিডিও পোস্ট করে জানিয়েছেন, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি চোরাচালান হয় এই সরীসৃপের। রাঙাচাপড় গ্রামের বাসিন্দারা তাকে ক্ষেতের মধ্যে দেখতে পান।প্রাণীটি যাতে পালিয়ে যেতে না পারে তার জন্য তাকে দেখা মাত্র ধরে ফেলা হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা খবর দেন স্থানীয় থানায়। প্রশাসনই উদ্ধার করে প্রাণীটিকে
কুয়োয় বন্দি বাঘমামা, মুক্তি পেলেন কীভাবে?
মিঃ নন্দা ভিডিওটি পোস্ট করে জানিয়েছেন, প্যাঙ্গোলিনকে দেখামাত্র এক গ্রামবাসী তাকে কাঁধর ওপর তুলে নেন। আরেকজন চেপে ধরেন লেজ। ওই অবস্থায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। প্যাঙ্গোলিন দেখতে তখন ভিড় জমে গেছে সে অঞ্চলে। নন্দা আরও বলেন, মানুষের মাঝে পড়ে খুবই অসহায় বোধ করছিল প্রাণীটি। তারপরেই প্রশাসন এসে উদ্ধার করে তাকে। নইলে ফাঁকতালে হয়ত পাচার হয়ে যেত সে।
আফ্রিকার জঙ্গলে থাকা অবলুপ্তপ্রায় প্রাণিটির আঁশ ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এর মাংস সুস্বাদু হওয়ায় চোরাশিকারিদের কাছে এর দাম অনেক। করোনা লকডাউনে এভাবেই মানুষ ঘরবন্দি হয়ে পড়ায় লোকালয়ে চলে আসছে বন্যপ্রাণীরা। হাতি, গণ্ডার, ময়ূর, কচ্ছপ, ডলফিন, পেঙ্গুইনদের দেখা মিলছে লোকালয়ে। শহুরে রাস্তায়। বন বিভাগের মতে, দীর্ঘদিন অরণ্যে থাকতে থাকতে আচমকাই যেন মুক্তির স্বাদ পেয়েছে এরা। এতদিন মানুষের দাপটে লোকাল ছিল এদের জন্য নিষিদ্ধ। করোনার ভয়ে সভ্য দুনিয়া গৃহবন্দি হয়ে পড়ায় বন্যদের অবাধ বিচরণ এখন মানুষের বসতিতে।