এই সংশোধনের ফলে জেলের কর্মী বা আধিকারাও আইনের আওতায় আসছেন।
কলকাতা: জেলে বসেই তোলা আদায়, ব্যবসায়ীকে হুমকি বা আরও বড় কোনও গোলমাল পাকানোর চক্রান্ত, সাম্প্রতিক কালে এরকম নানা ঘটনার কথা শোনা গিয়েছে। আর প্রতিবারই তদন্ত করে কারা বিভাগের কর্তারা জানতে পেরেছেন কোনও না কোনও উপায় অবলম্বন করে জেলের মধ্যে মোবাইল ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে । সেটা ব্যবহার করেই ঘটেছে এ ধরনের একাধিক ঘটনা। এবার তাই কড়া পদক্ষেপ করল রাজ্য সকারর। বিধানসভায় কারা বিষয়ক আইনের সংশোধন করা হল। এখন থেকে জেলের মধ্যে বসে কোনও কয়েদি যদি মোবাইল বা ওই ধরনের কিছু ব্যবহার করে তাহলে তাকে অতিরিক্ত তিন বছর জেল খাটতে হবে।
সংশোধিত আইনের বলে কয়েদিদের কাছ থেকে মোবাইল, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, সিমকার্ড, মোবাইল ব্যাটারির মতো কোনও জিনিস পাওয়া গেলেই শাস্তির ব্যবস্থা হবে। তদন্তে দোষ প্রমাণিত হলে অতিরক্ত তিন বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। এই সংশোধনের ফলে জেলের কর্মী বা আধিকারাও আইনের আওতায় আসছেন। কোনও ঘটনার পর যদি জানা যায় কর্মী বা আধিকারিক জেনে বুঝে অপরাধ সংগঠিত হতে দিয়েছেন বা সেটাকে মদত করেছেন তাহলে তাঁদের তিন বছরের জেল হতে পারে। জেল না হলে দিতে হবে 3 হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা। অপরাধ গভীর হলে জেল-জরিমানা দুটোই হবে।
সংশোধিত আইন পেশ করে কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন কোনও ভাবেই জেলে মোবাইলের প্রবেশ বন্ধ করা যাচ্ছিল না বলে আইনে সংশোধন করা হল।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)